নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন একজন পরীক্ষিত ক্রীড়া সংগঠক।’ সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি কথাটি বলেন। গতকাল বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘ক্রিকেট অঙ্গন’ আয়োজিত এই স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের রূপকার ছিলেন কোকো। তিনিই দেশকে তরুণ ক্রিকেটার উপহার দেয়ার কাজ আগে শুরু করেন। ২০০৪ সালে কোকো যখন বিসিবির ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তখনই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ প্রথমবারের মতো সফলভাবে আয়োজন করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটই ছিলো কোকোর ধ্যান-জ্ঞান। যে কারণে নিজেকে রাজনীতির বাইরে রেখেছিলেন এই ক্রিকেট সংগঠক।’
কোকোকে বাংলাদেশের আধুনিক ক্রিকেটের রূপকার আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও রাজনৈতিকীকরণ হচ্ছে। এতে ক্রীড়াঙ্গন দুর্বল হয়ে যায়। কোকোর মৃত্যুতে ক্রিকেট বোর্ড একটি শোক বাণী পর্যন্ত দেয়নি। এটি করলে কোনো ক্ষতি হতো না।’ বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নামে দেশে যে স্টেডিয়ামগুলো নির্মাণ হয়েছে, তা বিএনপির শাসনামলেই হয়েছে। অথচ আজ বিএনপিকেই অমুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন বলা হচ্ছে, এটা সত্যিই লজ্জাজনক। এই স্মরণসভার মাধ্যমে আমি দায়িত্বশীল ক্রীড়া সংগঠকদের প্রতি আহ্বান জানাই ভবিষ্যতে যেন কোকোর নামে স্মরণিকা প্রকাশ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।’ কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ক্রিকেট কোচ আব্দুল হাদী রতনের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)’র সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালের সঞ্চালনে এই স্মরণসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিসিবির সাবেক সহ-সভাপতি শাহ নুরুল কবির শাহীন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিসিবির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য খন্দকার জামিল উদ্দিন, ক্রিকেট সংগঠক আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। উপস্থিত ছিলেন, বিসিবির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু, ক্রিকেট সংগঠক কাজী ইউসা মিশু, জিয়াউর রহমান তপু, তরিকুল ইসলাম টিটু, আদনান রহমান দীপন, আব্দুল মজিদ ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।