নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : আবদুল হাদি রতন একাধারে ছিলেন কোচ, ক্রিকেটার, প্রথম শ্রেণীর আম্পায়ার এবং অধিনায়ক! ১৯৯৯ সালে সাধারণ বীমার হয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ মওসুমে এমন পরিচয়ে আবদুল হাদি রতনকে চিনতো সে সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গন। ঢাকার প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের এক সময়ের রানার্স আপ রূপালী ব্যাংক দলের প্রতিনিধিও ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে যে দলটিকে প্রস্তুত করা হয়েছে, গর্ডন গ্রীনিজের অধীনে সাপোর্টিং কোচদের তালিকায় ছিলেন আবদুল হাদি রতন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ হিসেবে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত করেছেন কাজ। ১৯৯৯ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে অন্যতম সেরা দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কোচের দায়িত্বও সুচারুরূপে করেছেন পালন।
ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোচের চাকরি নিয়েছিলেন, সেখান থেকে প্রেষণে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিসিবির প্যানেল কোচের দায়িত্ব করেছেন পালন। বয়সভিত্তিক দল তো বটেই, জাতীয় লীগে বিভাগীয় দলের কোচের দায়িত্বও বহুবার অর্পিত হয়েছে তার উপর। ২০১৪ সালে কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়েও অসুস্থ শরীর নিয়ে জাতীয় লীগে বরিশাল বিভাগীয় দলের কোচের দায়িত্ব করেছেন পালন। ২টি কিডনী বিকল হওয়ায় ধুঁকতে ধুঁকতে গতকাল ভোররাতে ইন্তেকাল করেছেন এই ক্রিকেট অন্ত:প্রাণ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পিরোজপুরের কাউখালীতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা আনার পথে ইন্তেকাল করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তান এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
কিডনি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপ চলাকালে মিরপুরের ন্যাশনাল কিডনি হাসপাতালে ভর্তি হন সাবেক বাঁহাতি এই স্পিনার। তার পর আর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি এই মুক্তিযোদ্ধা ক্রিকেটার, কোচ এবং আম্পায়ার। তার মৃত্যু সংবাদে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। যে সমস্ত ক্রিকেটার তৈরি করেছেন নিজ হাতে, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তারা। গতকাল বাদ আছর তার নামাযে জানাজা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। নামাযে জানাজা শেষে তাকে ঢাকা থেকে নিজের বাড়ী কাউখালিতে নিয়ে যেয়ে পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), সিসিডিএম, ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন জানিয়েছে শোক। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।