বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এখনো করোনামুক্ত দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। করোনা ভাইরাস থেকে এখনো নিরাপদ রয়েছে এই দ্বীপের বাসিন্দারা।
নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও পুলিশের কড়াকড়ির কারণে
সেন্টমার্টিনে সব ধরণের যাতায়াত বন্ধ থাকায় এখনও সেখানে করোনার সংক্রমণ ছড়ায়নি বলে মনে করা হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত
সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। মূল ভূখণ্ডের সর্ব দক্ষিণে ১৭ বর্গ কিলোমিটারের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ এটি। মাত্র ৭ হাজার মানুষের বসবাস এখানে। টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন সেন্টমার্টিন।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণের পর সরকার যখন সাধারণ ছুটি ও গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করছিল তারপর থেকে সেন্টমার্টিনের সঙ্গে বাইরের মানুষের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।
নৌবাহিনীর কড়া পাহারায় রয়েছে দ্বীপটি। কেবল অসুস্থ হলে মানুষ এই দ্বীপ থেকে বের হতে পারে। এছাড়া কেউ বের হতে পারে না। ব্যবসায়ীক কাজ শেষে কেউ এখানে ফিরলে নৌ-বাহিনীর শরীর চেকআপের মাধ্যমে তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। এই দ্বীপে এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
সেন্টমার্টিনে ১০ শয্যার একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। সেখানে একজন চিকিৎসক থাকলেও করোনার কারণে তাকে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আর সেন্টমার্টিনের ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার সৈকত হাসান।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন যথেষ্ট নিরাপদ। এখানে করোনায় এখনও কেউ আক্রান্ত হয়নি। উপসর্গও নেই। গত ১৬ এপ্রিল তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাদের ফলাফল নেগেটিভ।
তিনি বলেন, এখান থেকে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বাইরে থেকে এখানে আসারও সুযোগ নেই।
কক্সবাজার জেলার সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে কোনও কেইস নেই। আমরা সেন্টমার্টিনকে নিরাপদ রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ভৌগলিক কারণে এই এলাকা নিরাপদ। তারপরও বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন যথেষ্ট নিরাপদ। এখানে করোনায় এখনও কেউ আক্রান্ত হয়নি। উপসর্গও নেই। গত ১৬ এপ্রিল তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাদের ফলাফল নেগেটিভ। তিনি বলেন, এখান থেকে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বাইরে থেকে এখানে আসারও সুযোগ নেই।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের (কমেক) অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ অনুপম বড়ুয়া জানান, গত ১ এপ্রিল থেকে কমেকের ল্যাবে করোনা আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
এ নিয়ে কমেক ল্যাবে সন্দেহভাজন মোট ১৭ হাজার ৭২১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছে ৮৬৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। এদের মধ্যে ৫ জন রোহিঙ্গাও রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।