পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সদ্য বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ মাস জুন শেষ হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী দিয়ে। সরকার বিদায়ী অর্থবছর মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে পাঁচ শতাংশের মধ্যে রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটাও বাস্তবায়ন হয়নি। গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) দেশের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৪৮ ভাগ। তুলনামূলকভাবে গড় মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে মাসিক হিসেবে গত মে মাসের তুলনায় জুন মাসেও কিছুটা বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। জাতীয় ও শহর, গ্রাম সব জায়গায়ই খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। দেশের প্রায় ১৫ জেলায় চলমান বন্যার ধাক্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর করা প্রতিবেদনের তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম ভার্চুয়াল ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মে মাসের তুলনায় জুনে গড় মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে হঠাৎ বন্যা। এ কারণে ফসল বিশেষ করে সবজির ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া এমনিতেই আষাঢ় শ্রাবণ মাসে অতিবৃষ্টির কারণে এ সময়টাতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে যায়। তবে আমরা আশা করছি বন্যার পানি নেমে গেলে দ্রুত রাস্তা ঘাট সংস্কার হবে তখন পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। ফলে মূল্যস্ফীতিও কমে আসবে।
বিবিএস’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ০২ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ০৯ শতাংশ। খাদ্য বহিভর্‚ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ২২ শতাংশ,যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া জুন মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। খাদ্য বহিভর্‚ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এদিকে গ্রামে সার্বিক মূলস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ০২ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভ‚ত পণ্যের মূল্যষ্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।