Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে খামারিদের

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঈদুল আজহা যত ঘনিয়ে আসছে দুশ্চিন্তা যেন ততই বেড়ে চলেছে সৈয়দপুরের গরু খামারিদের। কোরবানির জন্য লালন-পালন করা গরু নিয়ে কপালে চিন্তার ভাজ পড়ছে এখানকার খামারিদের। উপজেলা থেকে স্থানীয় চাহিদার পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে যান। কিন্তু এবারের চিত্রটা স¤পূর্ণ ভিন্ন। ঈদ এগিয়ে এলেও এখন পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেনি খামারিদের সাথে। ফলে কাঙ্খিত দাম পাওয়ার আশা তো দূরের কথা বরং লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
সৈয়দপুরের কয়েকজন খামার মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূলত কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে তারা সারা বছর গরু-ছাগল লালন পালনে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু করোনার কারণে এবারে সঠিক মূল্যে পশুগুলো বিক্রি করতে না পারলে তারা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বেন। দিন দিন যেভাবে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে কিছুতেই যেন তারা দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারছেন না।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ৭৬টি খামারে এবারে ৯ হাজার ১৯০ টি গবাদিপশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৫৯৬টি গরু এবং ২ হাজার ৫৯৪টি ভেড়া ও ছাগল। এছাড়া পারিবারিকভাবে কয়েক হাজার গরু-ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিবছর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করার উদ্দেশেই গবাদিপশুগুলো প্রস্তুত করা হয়। তবে এবারো তার ব্যাতিক্রম হবে না বলে আশাবাদী প্রাণীসম্পদ বিভাগ।
সৈয়দপুর শহরের বাশবাড়ি এলাকার মিন্টু ১৩০টি ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন এবারের কোরবানীর জন্য। যার বাজারমূল্য ধারা হয়েছে প্রতিটি ৮০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। রোজার ঈদের পরই বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা তার খামার থেকে গরু নিয়ে যান। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত তার সাথে যোগাযোগ করেনি কেউ। ফলে কিছুটা শঙ্কাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের সবুজ বাংলা খামারের আরজিনা জানান, কোরবানীর জন্য লালন পালন করা ১৪টি গরু নিয়ে হতাশায় ভুগছেন। এমনিতেই করোনার ভয় তার সাথে এবার আবার গবাদিপশুর ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সঠিক দাম পাবেন কিনা এসব নিয়ে চিন্তিত তিনি। তিনি আরও জানান, ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে সারা বছর গরুগুলো লালন পালনে যে পরিমাণ ব্যয় করেছেন সে খরচটুকু পাবেন কিনা তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রাশেদুল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে খামারিদের মধ্যে কিছুটা হলেও ভীতি সঞ্চার হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক খামারি অনলাইনের মাধ্যমে গরু বিক্রি শুরু করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই অনলাইন মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয়ের আহবান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খামার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ