Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সবার শীর্ষে শেখ হাসিনা

রাজনৈতিক ভাষ্যকার | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৭ পিএম, ৫ জুলাই, ২০২০

অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল; দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সেরা। এডিবি, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশকে উপমহাদেশের উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে সর্বত্রই ডিজিটালাইজেশন, মানবিকতা, শিল্পায়ন, জীবনমানের উন্নয়ন, কৃষি আধুনিকায়নে সাফল্যের শিখরে উঠেছে দেশ। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রেখে সামাজিক সমৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে পরিবেশ উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি সবক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে গত কয়েক বছরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্ব এবং একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ কার্যত দেশকে এই অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে গেছে।

দক্ষিণ এশিয়া তথা সার্কভুক্ত ৮ দেশের (আফগানিস্তানসহ) মধ্যে বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারত যা পারেনি; বাংলাদেশ তা করে দেখিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিকদের জন্য শেখ হাসিনা হয়ে গেছেন একজন অনুকরণীয় নেতৃত্ব। তিনি দেশ-বিদেশের নেতাদের কাছে হয়ে গেছেন আস্থা ও ভরসাস্থল। তার একাগ্রতা, দৃঢ়তা ও চিন্তাশীল নেতৃত্ব দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। পার্বত্য শান্তিচুক্তি, সমুদ্র বিজয়, নিজস্ব স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মহাকাশ বিজয়, নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নতি, স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা সমুজ্জ্বল হয়েছে।

এমনকি করোনা মোকাবিলায় শক্তিধর দেশগুলো নাকানিচুবানি খেলেও শক্ত হাতে শেখ হাসিনা অদৃশ্য ভাইরাস সামাল দিচ্ছেন। অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এখনো আক্রান্ত ও মৃতের হার কম। করোনায় বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেই রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের জন্যই করোনাকালে দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮.২ ধরে সংসদে চলতি অর্থবছরের বাজেট পাস করা হয়েছে। পররাষ্ট্র নীতিতে নিজ দেশের মর্যাদা সমুন্নত রেখে কী প্রতিবেশি, কী ক্ষমতাধর রাষ্ট্র সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখেই বাংলাদেশ উন্নয়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দেশে তো বটেই, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নেতৃত্বে এখন শেখ হাসিনার অবস্থান সবার শীর্ষে।

শেখ হাসিনার ডায়নামিক লিডারশিপ দেশকে অন্যন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নসহ অনেক বিষয়ে বিশ্বের বহু দেশের কাছে বাংলাদেশ এখন উদাহরণ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, ঝড়-বন্যা-খরা সামাল দেয়ার ক্ষেত্রেও তাই। দেশের উন্নয়ন, বেসরকারি খাততে সহায়তা, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বিরোধপূর্ণ বিশ্ব রাজনৈতিক পরিমন্ডলে বিদেশনীতিতে ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ এমন ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব খুব কম নেতাই দেখাতে পেরেছেন। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেরই প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধ ওপেন সিক্রেট।

পাশের দেশ ভারত প্রায় সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছে; ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার দৃরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বটা এখনো রয়ে গেছে। সুপার পাওয়ার চীন ও ভারতের অবস্থান মুখোমুখি। দুই দেশই বাংলাদেশকে অন্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষার বিপক্ষে। কিন্তু কৌশলি নেতৃত্ব দিয়ে দুই বিরোধপূর্ণ দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলছে বাংলাদেশ।

শুধু কি তাই, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে তথাকথিত প্রগতিশীলদের অনেকেই উস্কে দিয়েছিল; কিন্তু শেখ হাসিনা সেই উস্কানিতে কান দেননি। পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলছেন। গার্মেন্টস পণ্যে আমেরিকার জিএসপি সুবিধা বন্ধ। কিন্তু বাংলাদেশ দমে যায়নি; এগিয়ে গেছে। ইউরোপ ছাড়াও তৈরি পোশাকের নতুন নতুন বাজার খুঁজে নিয়েছে।

শেখ হাসিনা ক্রমান্বয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় একক নেতৃত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর দিকে তাকালে আমরা কী দেখি? ভুটান ছোট দেশ, ছোট অর্থনীতি। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন। দেশটির অর্থনীতি তেমন উল্লেখ করার মতো নয়। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম রাজনৈতিক চাপের মুখে রয়েছেন। এক সময়ের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ রাষ্ট্রটির অর্থনীতি এখন ভঙ্গুর। দেশটির ছোট অর্থনীতিতে চীন শতকরা ৭০ ভাগ সহায়তা করলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটছে না।

চীন ও ভারত দেশটির রাজনীতির নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতা করায় যে কোনো সময় সরকার পড়ে যেতে পারে। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ভাল নেই। যুগের পর যুগ ধরে ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের সঙ্গে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান হলেও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক হানাহানি কমেনি। জাফনায় এখনো তামিলদের প্রাধান্য। ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশটিতে সব সময় রাজনৈতিক অস্থিরতা। জাতিগত সংঙ্ঘাত দেশটির সামনে অগ্রসরের পথ আটকে দিয়েছে।

ভারতের খপ্পর থেকে নেপাল বের হয়ে এসে চীনের সহায়তায় অর্থনীতি সচল রেখেছে। কিন্তু ভারতের ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। নানাভাবে বিভিন্ন অঞ্চলের নাগরিকদের উস্কানি দিচ্ছে ভারত। অভ্যন্তরে রাজনৈতিক বিরোধ চলছে। রাজনৈতিক সঙ্ঘাত বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে এখন ক্ষমতার টলটলায়মান অবস্থা। আফগানিস্তানে কার্যত মেরুদন্ডহীন সরকার। আমেরিকার অনুকম্পায় সরকার দেশ চলালেও নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো ক্ষমতা নেই। আমেরিকাও সেখানে বিপর্যয়ের মুখে। তালেবানদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলতে হচ্ছে। গোষ্ঠিগত সঙ্ঘাত তো পাহাড় পর্বতের দেশটিতে লেগেই রয়েছে। দেশটি অর্থনৈতিকভাবে এগোতে পারছে না।

মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইমরান খান সুসম্পর্ক রক্ষা করলেও পাকিস্তানের সার্বিক অবস্থা ভাল নয়। জাতিগত সঙ্ঘাত ছাড়াও দেশটিতে ইসলামী ধারার রাজনৈতিক দলগুলো বছরজুড়ে থাকে হানাহানিতে ব্যস্ত। জাতিগত বিরোধ তো রয়েছেই। পিপিপি ও মুসলিম লীগের মতো দল দেশের স্বার্থের বদলে নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে। নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদল ঘটলেও এখনো সেনাবাহিনী সর্বেসর্বা। চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিলেও সাবেক ক্রিকেটার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কার্যত কঠিন সময় অতিক্রম করছেন। ক্রিকেট খেলার মতো পাকিস্তান এখনো অনিশ্চয়তার দেশ।

আয়তন-লোকসংখ্যায় বড় হলেও একরোখা নেতৃত্বের কারণে ভারত কার্যত অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে। আরএসএসের ভাবশিশ্য নরেন্দ্র মোদি দেশকে রামরাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করায় এখন সর্বত্রই হানাহানি। গান্ধীর দেশ ভারতে সামাজিক বন্ধন ভেঙে গেছে এবং সর্বত্রই সামাজিক বিশৃঙ্খলা। ড. অমর্ত্য সেনসহ সে দেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মোদি ভারতের অর্থনীতি এমন ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়েছেন যে, বিগত ৫০ বছরে দেশটির অর্থনীতি এতো খারাপ হয়নি। মোদির আগ্রাসী নীতিতে বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে দেশটি। ছোটবড় প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ। ফলে ভুটান ও নেপালের মতো দেশ ভারতকে চোখ রাঙায়।

গোটা ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর নীলনকশায় দেশটির অন্যসব রাজনৈতিক দল মেনে নিতে পারছে না। তাদের শঙ্কা, রাশিয়ার পুতিনের মতো মোদি দীর্ঘদিন ভারতের ক্ষমতায় থাকতে গেরুয়া পোশাকধারীদের প্রাধান্য দিচ্ছেন। দেশটির লেখক, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ সকলেই হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। করোনায় নাস্তানাবুদ ভারত বড় অর্থনীতির দেশ হয়েও লাদাখে চীনের কাছে ধরাশায়ী (২৩ সেনা নিহত) হওয়ায় মোদি এখন চাপের মুখে। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আনপ্যারালাল। অর্থনৈতিকভাবে সবল এবং শক্ত নেতৃত্বের হাতে দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপ্রতিদ্ব›দ্বী। দেশে নানা পথ-মতের মানুষের রাজনীতি থাকলেও শেখ হাসিনা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে দেশ। শেখ হাসিনার দূরদর্শী সাহসী সিদ্ধান্ত ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার সকলকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তার দৃঢ় সিদ্ধান্ত ও সাহসী পদক্ষেপে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ এখন বাস্তব। মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অসংখ্য মেগাপ্রকল্পের কাজ চলছে। দেশে এখন সবকিছুই ডিজিটাল।

ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে অনলাইনে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-মাদরাসার ক্লাস নেয়া হচ্ছে। সর্বত্রই পণ্য কেনাবেচা হয় অনলাইনে। করোনায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচার প্রস্তুতি চলছে। শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও দেশে এখন বেশি উৎপাদন হয়। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের কুঁড়েঘরে বিদ্যুতের আলোর ঝলকানি। গ্রামাঞ্চলেও এখন ইন্টারনেট-ডিশ লাইন।

ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গভীর সমুদ্রের তলদেশে অপটিক্যাল ফাইবার, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মোবাইল ব্যাংকিং, উপজেলা শহরে ব্যাংকের এটিএম বুথ, সহজলভ্য ইন্টারনেট সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। তার ‘ঘরে ফেরা’ কর্মসূচি ও নাগরিকদের ‘আইডি কার্ড’ দেয়ার কর্মসূচি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।

তিনি ৩০ বছরের গঙ্গা পানি চুক্তি, পার্বত্য শান্তি চুক্তি, জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি, মিয়ানমার ও ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে সমুদ্রসীমা বিজয়, ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি, ছিটমহল সঙ্কটের সমাধান করেছেন। তিনি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে মহানুভবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যার পুরস্কার হিসেবে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ সম্মান অর্জন করেছেন। শেখ হাসিনা শিল্পায়নের পাশাপাশি কৃষিতে সাফল্য দেখিয়েছেন। কৃষিতে আধুনিকায়ন এবং নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করায় ধান উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে উঠতে যাচ্ছে।

ইসলামবিদ্বেষী পশ্চিমারা সব সময় মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত। ফলে ৯২ ভাগ মুসলমানের এই বাংলাদেশে ‘জঙ্গিবাদ’ তকমা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে অপপ্রচার হয়েছে বছরের পর বছর ধরে। নানা ধরনের উস্কানি ছিল। জঙ্গিরা হলি আর্টিজান হত্যাকান্ডসহ বেশ কয়েকটি পৈচাশিক ঘটনাও ঘটিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার শক্ত নেতৃত্বে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জঙ্গিদের মেরুদন্ড ভেঙে দেয়া হয়েছে।

শুধু কি তাই, বৈশ্বিক মহামারি করোনার মোকাবিলায় শেখ হাসিনা আমলা, রাজনীতিক যাকে যেভাবে পারছেন ব্যবহার করছেন, কাজে লাগাচ্ছেন। করোনাকালে ৭ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ২ কোটি পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন ডিজিটাল ব্যাংকিং চ্যানেলে। করোনায় ভারতের বেহাল অবস্থা। অথচ করোনা দুর্যোগে সবকিছু বন্ধের মধ্যেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। গত জুন মাসে ১৮৩ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কারণ শেখ হাসিনা রেমিটেন্সে প্রণোদনা দিয়েছেন।

রেমিট্যান্সের মতোই নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভের পরিমাণ এখন ৩৬ বিলিয়ন (৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার)। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্বের পক্ষেই এমন সাফল্য সম্ভব। করোনার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলা করেছেন শক্তভাবেই। অথচ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এখনো আম্পানের ছোবলে কোমর সোজা করতে পারেনি। শেখ হাসিনা হয়ে গেছেন মানুষের ভরসাস্থল। অনেকের কাছে অপ্রিয় হলেও সত্য, শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে ১৮ কোটি মানুষের দেশ এখন শান্তিপূর্ণ মুসলিম রাষ্ট্র।

এই সাফল্যের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা শেখ হাসিনাকে নানাভাবে সম্মানিত করেছে। তিনি জাতিসংঘের ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ পুরস্কার’, ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কার, আবহাওয়া পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ’ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ পেয়েছেন।

এছাড়াও রাজনীতিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভ‚মিকা পালনে ‘পান ওম্যান ইন পার্লামেন্ট (ডব্লিউআইপি) গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড’, নারী ও শিশু শিক্ষা উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ‘শান্তি বৃক্ষ পদক’, ‘সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড’, জাতিসংঘের ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অ্যাওয়ার্ড’, ‘ডিপ্লোমা অ্যাওয়ার্ড’, ‘কালচারাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড’, ‘গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড’, ‘ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক’, ‘ডক্টরস অব হিউম্যান লেটার্স’, ‘মাদার তেরেসা পদক’, ‘নেতাজি মেমোরিয়াল পদকসহ অর্ধশতাধিক পদক পেয়েছেন।

তিনি বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ডিগ্রি ও সম্মাননা পেয়েছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি যা পেয়েছেন, বাংলাদেশ তো নয়ই; দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো নেতার পক্ষে অর্জন সম্ভব হয়নি। পুরস্কারের পাশাপাশি তিনি নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের কারণে বিভিন্ন স্বীকৃতিও অর্জন করেন। বিশ্বখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর দৃষ্টিতে বিশ্বের ক্ষমতাধর শত নারীর তালিকায় ৩৬তম এবং নিউইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর জরিপে ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের তালিকায় সপ্তম স্থান দখল করেন। নেতৃত্বের সাফল্যের জন্য তার আরো অনেক অর্জন রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক দল ও সরকারে সফল নেতৃত্বের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কার্যত আনপ্যারালাল-অপ্রতিদ্ব›দ্বী। অধ্যবসায় আর কঠোর পরিশ্রমী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিদ্ব›দ্বী দেশে নেই। সংসদে যে বিরোধী দল রয়েছে; সেই জাতীয় পার্টি তার অনুগ্রহে চলে। আর মাঠের বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিএনপি হয়ে গেছে পথহারা পাখি। নেতৃত্বের ভুলে দলটি এখানে-সেখানে মুরুব্বি খুঁজতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দেশপ্রেমের সঠিক পথ খুঁজে পাচ্ছে না। ফলে শেখ হাসিনার সামনে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। তার নেতৃত্বে ২০২১ সালে দেশ এগিয়ে যাবে। দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে তার অবস্থান শীর্ষে।



 

Show all comments
  • Ahsan Mahbub ৪ জুলাই, ২০২০, ১১:৫০ পিএম says : 0
    আহ!ইনকিলাব! কি ছিল কি হয়ে গেল! বিশ্বসেরা কিন্তু দেশে ....
    Total Reply(0) Reply
  • Nahid Biswas ৫ জুলাই, ২০২০, ১:২৯ এএম says : 1
    ভাইয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,তিনি অনেক কিছুই চেষ্টা করছেন,তার জন্য ওনাকে সাধুবাদ জানায়। কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীরা কি সেই কাজগুলো সবাই সঠিক ভাবে পালন করছেন? আমি মনে করি ঐসব নেতাকর্মীদের কারণে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার সন্মানখুন্ন হচ্ছে। আর যাঁদের জন্য নেএীর সন্মানখুন্ন হচ্ছে, আসলে তাদের কে নেতা বল্লে,রাজনীতিকে অস্নান করা হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Rahman Zia ৫ জুলাই, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 1
    I respected lot to our honorable Prime Minister but I have no comments on this matter
    Total Reply(0) Reply
  • তাসফিয়া আসিফা ৫ জুলাই, ২০২০, ১:৩৮ এএম says : 2
    ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। শুভ কামনা রইলো।
    Total Reply(0) Reply
  • রাজিব ৫ জুলাই, ২০২০, ২:১৫ এএম says : 1
    ভালো খবর। শুভ কামনা রইলো। বাংলাদেশকে আরও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাক্
    Total Reply(0) Reply
  • Shahid Alam ৫ জুলাই, ২০২০, ৭:৫৫ এএম says : 1
    We continue praying for Honorable Prime Minster's safe and good health. May Almighty Allah give her strength to lead Bangladesh for at least ten more years. So, Sheikh Hasina, a proud daughter of Bongo Bhondhu can full fill her father's dream.
    Total Reply(0) Reply
  • ফখর উদ্দিন ৫ জুলাই, ২০২০, ৯:০৫ এএম says : 1
    এ যেনো এক রূপ কথার গল্প।
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ৫ জুলাই, ২০২০, ১০:১২ এএম says : 1
    বিশ্বময় করোনায় বিশ্বসেরা খবর শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ইনকিলাব পরিবারকে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Nizam Uddin ৫ জুলাই, ২০২০, ১০:৩১ এএম says : 1
    I pray five times after "Salat" continue praying for our Honorable Prime Minster's safe and good health every day as usual . May Merciful , Greatest, the owner of the world Almighty Allah give her huge strength, stamina, wisdom to lead Bangladesh for at least 15 more years. So, PM and charismatic Leader Sheikh Hasina is a bright star, proud daughter of Bongo Bhondhu can full fill her father's vision and lift bangladesh at the top rated developed country.
    Total Reply(0) Reply
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৫ জুলাই, ২০২০, ১১:২২ এএম says : 1
    যুগের পর যুগ শতাব্দীর পর শতাব্দী চেষ্টা করেও কোন জাতির ভাগ‍্যে এই রকম নেতা মিলে না। আমরা সত্যি ভাগ‍্যবান জাতি বাংলাদেশের মানুষ এমন একজন নেতা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন‍্যা শেখ হাসিনা। যিনি বিশ্বের প্রভাবশালী নেতাদের একজন। দক্ষিণ এশিয়ার লৌহ মানবী। মানবতার মহান আদশ‍্যে বিশ্ব মানবতার মা। সমদ্র বিজয়ী আকাশ বিজয়ী অর্থনৈতিক পরাশক্তির দ্বারপ্রান্তে। আমার হাতের মুঠোয় ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার। প্রার্বত‍্য চট্টগ্রামের শান্তির পায়রা উড়িয়ে রক্তাক্ত জনপদে শান্তি। দশ লক্ষ রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত নারী পুরুষ রোহিঙ্গাদের জীবন বাচানো আশ্রয় দাতা শান্তির পক্ষে বিশালাকার কাজ। এটি শতভাগ শতভাগ আন্তর্জাতিক ভাবে শান্তির পক্ষে নোভেল শান্তি পুরুষ্কার পাওয়ার কাজ। বিশ্বের মানুষ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বিশ্ব বরন‍্য নেতা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর একের পর এক সুচিন্তিত সুদুরপ্রসারী দির্ক নির্দেশনামূলক কর্মকাণ্ডে বিশ্ব সমাজে বাংলাদেশ সম্মানিত জাতি। বিশ্বের সংকটময় সময়ে মানবতার মায়ের মানবতায় বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে। এই মুহূর্তে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা দোয়া আল্লাহ্ আপনি আমাদের হেফাজত করুন দয়া করুন। দেশের আইন শৃংখলা বাহিনী ডাক্তার নার্স সাংবাদিক সকল শ্রেণি পেশার মানুষ কে হেফাজত করুন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর শারীরিক সুস্থতা দীর্ঘায়ু প্রার্থনা করছি আল্লাহ্ রাব্বুল আল আমিনের দরবারে। আমিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Metoo ৫ জুলাই, ২০২০, ১:১৪ পিএম says : 1
    She is our leader and our star. We make dream On her excellence. She make us a prouded nation in the world.
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৫ জুলাই, ২০২০, ৯:৫২ পিএম says : 0
    দৈনিক ইনকিলাব প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী কওমি মাতা শেখ হাসিনার সাফল্য সম্পর্কে যে তথ্যবহুল প্রতিবেদন লিখেছেন এটা শেখ হাসিনার উপর বিরল এক লিখা। অবশ্যই নেত্রী হাসিনা এর প্রাপ্য। তাঁর অধ্যাবাসা এবং দূরদর্শিতাই তাঁকে এই যায়গায় পৌছিয়েছে এটাই সত্য। আমি আল্লাহ্‌র দরবারে প্রার্থনা জানাই তিনি যেন বাঙালী জাতীর মধ্যে শেখ হাসিনার আদলে যোগ্য নেতার সৃষ্টি করেন। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৫ জুলাই, ২০২০, ৯:৫২ পিএম says : 0
    দৈনিক ইনকিলাব প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী কওমি মাতা শেখ হাসিনার সাফল্য সম্পর্কে যে তথ্যবহুল প্রতিবেদন লিখেছেন এটা শেখ হাসিনার উপর বিরল এক লিখা। অবশ্যই নেত্রী হাসিনা এর প্রাপ্য। তাঁর অধ্যাবাসা এবং দূরদর্শিতাই তাঁকে এই যায়গায় পৌছিয়েছে এটাই সত্য। আমি আল্লাহ্‌র দরবারে প্রার্থনা জানাই তিনি যেন বাঙালী জাতীর মধ্যে শেখ হাসিনার আদলে যোগ্য নেতার সৃষ্টি করেন। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৫ জুলাই, ২০২০, ১০:১৮ পিএম says : 0
    এখানে প্রতিবাদক বলেছেন, “পাশের দেশ ভারত প্রায় সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছে; ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার দৃরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বটা এখনো রয়ে গেছে।“ কথাটা খুবই সত্য ভারত যেভাবে বাংলাদেশকে বিভিন্ন দিক থেকে চুষে খাচ্ছে তারপরও শেখ হাসিনা ধর্যের সাথে সেসব মেনে নিয়ে বন্ধুত্বের মর্যাদা রেখে শান্ত থাকছে। এমনকি সীমান্তে দেশের নাগরিকদেরকে নির্বিচারে হত্যা করার পরও শেখ হাসিনা তেমন কোন প্রতিবাদ করছে ফলে প্রতিনিয়ত দেশের প্রচুর লোককে জীবন দিতে হচ্ছে। এখানে শেখ হাসিনা এই অন্যাকেও মেনে নিতে পারছেন কারন বাংলাদেশের লোকজন শেখ হাসিনাকে এই জীবন নাশের জন্যে সেভাবে পর্যাদস্ত করছে না। এটা অবশ্যই দেশের জনগণ করেনা করে থাকে দেশের বিরোধী। বর্তমানে দেশে কোন বিরোধী দলই নেই তাই শেখ হাসিনা অন্যায় ভাবে দেশের লোকজন সীমান্তে ভারতীয় সৈনিকদের হাঁতে নিহত হচ্ছে তারপরও সেরকম কোন প্রতিবাদ করছেনা। এইজন্যেই ভারতের সাথে এখনও বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হচ্ছে। ভারতের অন্যান্য পার্শবর্তি দেশ ভারতের অন্যাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেনা সেজন্যেই তাদের সাথে বিরোধ চলছে। আর বাংলাদেশ ভারতের অন্যায় অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে সাথে সাথে সঠিক পথে ও বাকা পথে ভারতে প্রচুর ডলার যাচ্ছে মানে ভারত বাংলাদেশ থেকে প্রচুর বৈদেশীক মুদ্রা পাচ্ছে এজন্যেও ভারত বাংলাদেশকে একটু রেহাই দিচ্ছে। আরব বাংলাদেশের প্রাপ্য ভারত একেবারেই দিচ্ছেনা আর সেটা নিয়ে হাসিনার সরকার ভারতকে বিরক্ত করছেনা এটাও ভারতের সাথে বন্ধুত্ব বজায় থাকার একটা কারন। এখন কেহ যদি তাঁর বন্ধুর সকল আবদার পুরন করে বিনিময়ে কিছুই না নেয় তাহলে বন্ধুত্ব নষ্ট হবার প্রশ্নই আসে না। শেখ হাসিনার একটা অসাধারন গুন সেটা হচ্ছে তাঁর প্রচুর ধর্য ও সহ্য। তিনি নিজেই বলেছেন তিনি কোকিল কন্ঠি বিষ খেয়ে বিষ হজম করেন। কথা অবশ্যই তিনি সত্য বলেছেন তিনি বিষ খেয়ে বিষ হজম করেন। এযাবৎ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের পর শেখ হাসিনাই তাঁর যায়গায় দখল করে তাজউদ্দীনকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন। এখানে অবশ্যই একটা কথা এসে যায় সেটা হচ্ছে তাজউদ্দীন ৯ মাসের যুদ্ধ কালে যে যোগ্যতা দেখিয়ে ছিলেন এরপর বঙ্গবন্ধুকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে তিনি সড়ে গিয়েছিলেন সময়ের অভাবে তিনি আর এগুতে পারেননি। কাজেই আমরা তাঁর কাছ থেকে যা পেয়েছি ঐ ৯ মাসেই পেয়েছি এবং সেই বিচারেই এখনও তিনি যোগ্যতার উচ্চ শিখরে অবস্থান করছেন। আল্লাহ্‌ বাঙালী জাতীকে তাজউদ্দীন ও শেখ হাসিনার মত নেতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • Alam ৬ জুলাই, ২০২০, ১২:৪৪ এএম says : 0
    My respectabul primeminister for your hard work many many thanks.
    Total Reply(0) Reply
  • আবদুল কাদের ৬ জুলাই, ২০২০, ১০:১৭ এএম says : 0
    শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • শান্তা আক্তার ৬ জুলাই, ২০২০, ১০:১৮ এএম says : 0
    আল্লাহ তাকে দীর্ঘ হায়াত দান করুক, যাতে তিনি এই দেশের দেখমত করতে পারেন
    Total Reply(0) Reply
  • শুভ্র ভৌমিক ৬ জুলাই, ২০২০, ১০:১৯ এএম says : 0
    তার বাবা দেশ স্বাধীন করেছেন আর তিনি এখন দেশের উন্নতি করছেন এবং দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • সফিক আহমেদ ৬ জুলাই, ২০২০, ১০:২০ এএম says : 0
    শেখ হাসিনার ডায়নামিক লিডারশিপ দেশকে অন্যন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • জাফর ৬ জুলাই, ২০২০, ১০:২১ এএম says : 0
    আশা করি তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি শক্তিশালী দেশে পরিণত হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • পাবেল ৬ জুলাই, ২০২০, ১০:২২ এএম says : 0
    দেশে নানা পথ-মতের মানুষের রাজনীতি থাকলেও শেখ হাসিনা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে দেশ।
    Total Reply(0) Reply
  • রিফাত ৬ জুলাই, ২০২০, ১০:২৩ এএম says : 0
    শেখ হাসিনার দূরদর্শী সাহসী সিদ্ধান্ত ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার সকলকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • নাজিম উদ্দিন ৬ জুলাই, ২০২০, ১০:২৬ এএম says : 0
    মাননীয় নেত্রী, আপনি এগিয়ে যান। এদেশের মানুষ আপনার সাথে আছে
    Total Reply(0) Reply
  • আবু ওয়াহিদ চৌধুরী ৬ জুলাই, ২০২০, ১০:০৩ পিএম says : 0
    এই নিবন্ধে সবকিছু 100% সত্য কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কি একটু প্রবাসীদের জন্য এবং সীমান্তে ভারতীয়দের গুলিতে পাখির মতো মানুষ মারছে তার জন্য কিছু ভাববেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেখ হাসিনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ