নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : ফেনী সকারের বিপক্ষে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিডেট একি খেলা খেলেছে। যদিও মিডফিল্ডার সোহেল রানার দেয়া একমাত্র গোলে ঢাকা আবাহনী ১-০ গোলে জিতেছে ম্যাচটি, তারপরও বলতে হয়, তারা তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। নামিদামি তারকা খেলোয়াড় নিয়ে এই দলটি ৩ পয়েন্ট পেলেও তাদের খেলা দেখে হতাশ হয়েছেন সমর্থকরা। শুধু দর্শকরাই নয়, খোদ আবাহনীর লিমিটেডের কোচ জর্জ কৌটানও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে হতাশ। নিজের হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘যদিও ফেনী সকারের বিপক্ষে ম্যাচটি আমরা জিতেছি, তবুও আমি দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে খুবই হতাশ। জয়টি পেলেও আমি বলবো এটি ভাগ্যের জোরে পেয়েছি। এই লীগে ভালো কিছু করতে হলে মাঠে আরো ভালো পারফর্ম করতে হবে খেলোয়াড়দের।’
প্রথম পরিকল্পিত আক্রমণে যায় ফেনী সকার ক্লাব। ৩০ মিনিটে ডি-বক্সের সামনে থেকে ফেনী সকারের বিদেশি মিডফিল্ডার ফেলিক্স যে ফ্রি-কিক নেন, সেটি ধরতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় আবাহনীর গোলকিপারকে। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটের খেলায় একবারই শুধু গোলের দারুণ সুযোগ সৃষ্টি করেন আবাহনীর খেলোয়াড়রা। ম্যাচের ৪২তম মিনিটে ফেনী সকারের পেনাল্টি বক্সের জটলায় বল পেয়ে যান আবাহনীর বিদেশি ফরোয়ার্ড সানডে। গোল মুখে ক্ষিপ্র গতির শট নেন তিনি। কিন্তু ফেনী সকারের গোলকিপার সুজন কোনো রকমে তা ঠেকিয়ে দেন। ফিরতি বলে আলতো টোকায় গোল করে দলকে এগিয়ে নেন আবাহনীর মিডফিল্ডার জুয়েল রানা ১-০। মধ্য বিরতির পর খেলা শুরু হওয়ার ১১ মিনিটের মাথায় আবারও আক্রমণে যায় আবাহনী। বিদেশি ফরোয়ার্ড লী এন্ড্রো টাক ডি-বক্সের ভেতরে কিছুটা ফাঁকায় দাঁড়ানো মিডফিল্ডার হেমন্তকে পাস দেন। গোলকিপার সুজনকে একা পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। বল গোলকিপার সুজনের হাতে লেগে বাইরে চলে গেলে আবাহনীর এই আক্রমণ নস্যাৎ হয়। মিনিট তিনেক পর ফেনী সকারের মিডফিল্ডার ফেলিক্স ডানপ্রান্ত দিয়ে এগিয়ে গিয়ে ডি-বক্সে মাইনাস করেন। অধিনায়ক রিদন ছিলেন প্রস্তুত। কিন্তু তার কাছে বল যাওয়ার আগেই আবাহনীর গোলকিপার সোহেল নিজের আয়াত্বে নিয়ে নেন। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে আবারও আক্রমণে যায় ফেনী সকার। ডি-বক্সের ভেতরে ঢুকে গোলমুখে ফেলিক্সের জোরালো শট আবাহনীর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। ম্যাচের শেষ দিকে ৮৮ মিনিটে আবারও গোল পরিশোধের সুযোগ নষ্ট হয় ফেনী সকারের। বিদেশি মিডফিল্ডার মোরো মোহাম্মদ ডি-বক্সের ভেতরে হেড করে সতীর্থ স্বরণ হাওলাদারকে পাস দেন। মিডফিল্ডার স্বরণ গোলমুখে শটও নেন। কিন্তু গোলকিপার সোহেল তা ধরে ফেলেন।
দিনের অপর ম্যাচে শিরোপা প্রত্যাশী স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী দারুণ এক জয় পেয়েছে। আকাশি-নীল জার্সিধারীরা ৪-২ গোলে ঢাকা মোহামেডানকে হারিয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। চট্টগ্রাম আবাহনীর রুবেল মিয়া দু’টি এবং লিওনেল ও জাহিদ একটি করে গোল করেন। মোহামেডানের সজিব ও মালেক একটি করে গোল করেন। গতকাল ছিল ছুটির দিন। তারওপর জনপ্রিয় দল মোহামেডান ও আবাহনীর ম্যাচ থাকায় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের গ্যালারীতে প্রচুর দর্শক সমাগম হয়।
চট্টগ্রাম আবাহনী প্রথম গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৪১ মিনিটে। ডান প্রান্ত থেকে ডি-বক্সে ঢুকে পড়ে গোলমুখে শট নেন ডিফেন্ডার মুন্না। মোহামেডানের গোলকিপার নেহাল তা কোনোরকমে ঠেকিয়ে দেন। ফিরতি বলে ড্রাইভ দিয়ে চমৎকার হেড করে দলকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া ১-০। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আরো একটি গোল পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। বল নিয়ে একক প্রচেষ্টায় ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন আবাহনীর ফরোয়ার্ড লিওনেল। তাকে অবৈধভাবে বাধা দেন মোহামেডানের গোলকিপার নেহাল। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। গোলকিপার নেহালকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। পেনাল্টি থেকে গোল করেন লিওনেল ২-০। মধ্য বিরতির পর ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে চট্টগ্রাম আবাহনী। ৫২ মিনিটে আরো একটি গোল পেয়ে যায় চট্টগ্রামের দলটি। ডি-বক্সের সামনে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া ৩-০। ম্যাচের শেষ দিকে ৭৬ মিনিটে আবাহনীর ডিফেন্ডারদের ভুলে গোল পেয়ে যায় মোহামেডান। ডি-বক্সে ঢুকেই মোহামেডানের ফরোয়ার্ড সজিব জোরালো শটে গোল করে ব্যবধান কমান ৩-১। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে দলকে আরো এগিয়ে নেন আবাহনীর বদলি মিডফিল্ডার জাহিদ ৪-১। অবশ্য অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান কমান মোহামেডানের বদলি মিডফিল্ডার মালেক ৪-২।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।