Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ষণের পর ৫০ হাজার টাকায় রফাদফার চেষ্টা

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

নেছারাবাদে এক হতদরিদ্র মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ৫০ হাজার টাকায় আপোষ করতে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে মেয়েটির বাবা ধর্ষক খায়রুল ও তার ২ সহযোগীকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন। নেছারাবাদ উপজেলার করফা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নেছারাবাদ থানায় ছাত্রীর বাবা দ্বীন ইসলাম শেখ বাদী হয়ে খায়রুল ও তার দুই সহযোগীকে আসামি দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। পুলিশ ছাত্রীকে মেডিক্যাল করানোর জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর করফা গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের নবম শ্রেণির মাদরাসা ছাত্রী লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রতিবেশি সাইদুলের বাসায় কাজ করত। সাইদুলের ব্যবসায়ীক পার্টনার খায়রুল তাকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি সাইদুলের স্ত্রী নাসরিনকে জানালে তিনিও খাইরুলের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন প্রকারে প্রলোভন দেখাত। ঘটনার দিন নাসরিন তার স্বামী বাড়ি নেই বলে তার সাথে ছাত্রীটিকে থাকার জন্য বলেন। ছাত্রীটি রাজি হয়ে ওই বাড়ি গেলে সুযোগে খাইরুল ছাত্রীটিকে বাগানে নিয়ে হাত-পা বেধে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা হতদরিদ্র মেয়েটির পরিবারকে উপযুক্ত মীমাংসার কথা বলে কালক্ষেপণ করে যাচ্ছেন। গত ২৭ জুন মেয়েটির পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মীমাংসা হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এতে ছাত্রীর পরিবার রাজি না হওয়ায় পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
মামলার বিষয়ে ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা বা কালক্ষেপণ বেআইনী। ভিকটিমকে মেডিক্যাল করানোর জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ