পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাটশিল্পের উন্নয়নে চীনের দেয়া লাভজনক প্রস্তাব বাংলাদেশ গ্রহণ না করায় পাটশিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) সভাপতি শহিদুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ভারতপ্রেমি আমলারা অবৈধ আয়ের সুযোগ না থাকায় চীনের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। অথচ চীনের প্রস্তাব গ্রহণ করলে দেশের পাটকলগুলো লাভজনক হতো, কৃষকরাও উপকৃত হতো। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি গোল্ডেন হ্যান্ডশেককে রাষ্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তি মালিকানায় তুলে দেয়ার ভারতীয় নীল নকশার অংশ হিসেবে অবিহিত করেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাটকল আদমজী যখন বন্ধ করে দেয়া হয় তখন ভারতে নতুন নতুন পাটকল নির্মাণ করা হয়।
সিপিবির সাবেক সভাপতি ও প্রখ্যাত শ্রমিকনেতা শহিদুল্লাহ চৌধুরী দেশের পাটকলে লোকসানের জন্য দিল্লীর তোষণকারী আমলাদের দায়ী করেন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সরকারের আমন্ত্রণে চীনের ডেলিগেটরা পাটকলগুলো পরিদর্শন করে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, তোমরা যদি পাটকলের পুরনো যন্ত্রগুলো ফেলে দাও, তাহলে আধুনিক যন্ত্র দিয়ে সাজিয়ে দেব। এর ফলে উৎপাদন তিনগুণ বেশি হবে। উৎপাদন বাড়লে এটা বাজারজাতকরণের জন্য বাংলাদেশকে চিন্তা করতে হবে না। মোট উৎপাদনের ৬০ ভাগ চীনের বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করে দেব। বাকি ৪০ ভাগ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করা যাবে। তিনি বলেন, উৎপাদন বাড়লে পটশিল্পও ধারাবাহিকভাবে আরও উন্নত হওয়ার দিকেই যেত। কিন্তু দেশের আমলারা এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন নি। কারণ ওই প্রক্রিয়ার মধ্যে আমলাদের উপরি ইনকামের কোনো পথ ছিল না। রাজি হলে চীনারাই সব করে দিত। তাই দেশের পাটশিল্পের উন্নয়নে চীনের এই প্রস্তাব তাদের পছন্দ হয়নি।
শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের এক কোটি ২০ লাখ শিল্প শ্রমিক আছে। কোনো কারণে যদি শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়, তাহলে তা এই সরকারের পক্ষে সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। শ্রমিক ছাঁটাই সরকারের জন্য মারাত্মক একটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। দেশের শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে অর্থনীতি বলতে আর কিছু থাকে না। রফতানি ও রেমিট্যান্স কমে যাবে। জাতীয় শিল্পও যদি অচল হয়, তাহলে দেশ আবারও পিছিয়ে পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।