বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর কাজে লাগে না, যারাই ভেন্টিলেশনে গেছেন তারাই মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের থাকা-খাওয়ার বিলে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তা ঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন সমালোচনার জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
মন্ত্রী বলেন, দেশে ৪০০ ডেন্টিলেটর আছে। এর মধ্যে কাজে লাগে মাত্র ৫০টি। বাকি গুলো পড়ে থাকে। অর্থাৎ ভেন্টিলেটর কাজে লাগছে না। জাহিদ মালেক বলেন, কোনো হাসপাতালে সেবা পাচ্ছে না, এমন কোনো বিষয় নেই। আমাদের ১৪ হাজার বেড আছে রোগী আছেন চার হাজার। মানুষ যদি সচেতন হয়, মাস্ক পরে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখে, তাহলে সংক্রমণ কমে যাবে। ‘আমাদের শুরুতে একটি টেস্ট ল্যাব ছিল। দেড় মাসে আমরা ৬৮টি ল্যাব করেছি। কোটি কোটি মানুষকে তো আর টেস্ট করতে পারব না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের থাকা-খাওয়ার বিলে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তা ঠিক নয়। আমাদের এখানে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের বিলে অনিয়মের কথা বলা হয়েছে। এই হাসাপাতালের ৩৭০০ লোক ৫০টি হোটেলে এক মাস থেকেছেন। আমি বিল দেখেছি। পার রুমের ভাড়া ১১০০ টাকা, দিনে তিনবার খাবারের জন্য ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। সংসদে যে হিসাবে দিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে, এটা সঠিক না।
মন্ত্রী বলেন, ডাক্তার-নার্সরা প্রথমে আক্রান্ত হয়েছেন, কারণ তারা পিপিই কীভাবে পরতে হয় জানতেন না। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। পেশেন্ট গাইড, লিফলেট, ব্যানার করেছি। প্রতিদিন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করেছি। আমরা কিছু করিনি এটা ঠিক না। বসুন্ধরা হাসপাতাল বানালাম কীভাবে। মাত্র ২৫ দিনে দুই হাজার বেডের হাসপাতাল বানিয়েছি। আমরা কোথাও যাইনি এটা ঠিক নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।