পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাষ্ট্রায়ত্ত¡ পাটকল বন্ধ করা এবং গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত ও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)-এর মাধ্যমে মিল পরিচালনার মত জাতীয় ও জনস্বার্থ বিরোধী সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে পড়েছে শ্রমিকরা। খুলনায় গত দু’দিন ধরে পাটকল শ্রমিকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে স্ব স্ব মিল গেটে কর্মস্থলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। দাবি না মানলে আজ বুধবার থেকে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তারা আমরণ অনশন শুরু করবেন। অন্যদিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের উদ্যোগে মানববন্ধন হয়। এছাড়া এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। আমাদের সংবাদাতাদের তথ্যে প্রতিবেদন :
স্টাফ রিপোর্টার জানান : করোনাকালীন সময়ে দেশের সকল শ্রমিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা যখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত শ্রমিকের চাকরি রক্ষার্থে সোচ্চার, সেখানে সরকার শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের পক্ষে কথা বলে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২৫ হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তকে ‘গাছের গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালার’ মতো প্রতারণা। এক বিবৃতিতে এভাবেই বলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম।
শ্রমিক দল নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৫ হাজার পাটকল শ্রমিকের সাথে প্রায় ২ লাখ মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার বন্ধের মতো গর্হিত কাজ, যা কোন সভ্যদেশের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক চেতনা বোধ সম্পন্ন সরকার করতে পারে না। তারা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে সরকারি অনুদান বাড়িয়ে সঠিক মৌসুমে পাট কিনে পাটকলগুলো চালু করার দাবি করেন।
আবু হেনা মুক্তি, খুলনা থেকে জানান : পাটকল বন্ধ ঘোষণার খবর শোনার পর থেকেই শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা চরম হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পাটকল শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচির গতকাল মঙ্গলবার ছিল দ্বিতীয় দিন। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল দুপুর ২টা থেকে খুলনার বিভিন্ন পাটকলের গেটে অবস্থান নেয়, যা আজ বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে। এসময় তারা ব্যানার-প্লাকার্ড নিয়ে ‘মিল বাঁচাও’, ‘শ্রমিক বাঁচাও’ ‘শ্রমিক না বাঁচালে সরকার বাঁচবে না’, ‘দু’মুঠো ভাত চাই’, ‘আমলাদের বিচার চাই’, এ ধরণের নানা শ্লোগান দিতে থাকে।
এদিকে খুলনায় শ্রমিকদের সমাবেশ চলাকালে মো. আবুল কালাম নামে এক পাটকল শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ চলাকালে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়। সে খালিশপুরের প্লাটিনাম জুটমিলের ড্রাইং ফিডারের শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
যশোর ব্যুরো জানান : বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের উদ্যোগে সংগঠনের জেলা সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কৃষক সংগ্রাম সমিতি যশোর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সমীরণ বিশ্বাস, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা সম্পাদক কৃষ্ণা সরকার, দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান রাজেস।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রের যথাযথ পরিচালনার নীতিগত দুর্বলতা, মাথাভারী আমলাতান্ত্রিক প্রশাসন এবং লুটপাট ও অব্যবস্থাপনা-অনিয়মের কারণে এই শিল্পে সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।