মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, যারা আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে আশ্রয় দেয়ার নীতিতে জার্মানি অটল থাকবে। ইউরোপের দেশ জার্মানিতে সম্প্রতি শরণার্থীদের চালানো একাধিক হামলার প্রেক্ষিতে দেশটির শরণার্থী নীতি পরিবর্তনের আওয়াজ উঠে। তবে এমন কোনও পরিকল্পনার কথা নাকচ করে দিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। মিউনিখ, ভ্যুর্ৎসবুর্গ, রয়েটলিঙেন ও আনসবাখে হামলার ঘটনার পর শরণার্থী নীতি নিয়ে চাপের মুখে পড়েন জার্মান চ্যান্সেলর। নীতি পুনর্বিবেচনার বিষয়ে তিনি বলেছেন, নিপীড়ন এবং যুদ্ধ থেকে পলায়নপর মানুষদের সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে। জার্মানিতে সম্প্রতি কয়েকটি হামলা চালিয়েছে আশ্রয়প্রার্থীরা। এ সম্পর্কে মার্কেল বলেন, তারা এ তৎপরতা চালিয়ে তাদের স্বাগতিক দেশকেই লজ্জিত করেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা জার্মানির শরণার্থী নেওয়ার প্রস্তুতিকে স্তিমিত করে দিতে চায়। কিন্তু সরকার এর বিরুদ্ধে। সরকার সন্ত্রাসীদের ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সন্ত্রাসী হামলা রোধে মার্কেল বরং তথ্য সংগ্রহে নতুন ব্যবস্থা নেয়াসহ ইন্টারনেটে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের মতো আরও বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন। সম্প্রতি জার্মানির বাভারিয়ায় দুটো হামলার ঘটনাই ঘটিয়েছে আশ্রয়প্রার্থীরা। আন্সবাখে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় এক সিরীয়। ১৮ জুলাই ভ্যুর্ৎসবুর্গে একটি ট্রেনে কুড়াল ও ছুরি নিয়ে হামলা চালানো ব্যক্তিও ছিল এক আফগান আশ্রয়প্রার্থী। দুই হামলাকারীই ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আনুগত্য স্বীকার করেছে। গত ২২ জুলাই মিউনিখে হামলাকারী ইরানি বংশোদ্ভূত এক জার্মান। যদিও সে হামলার সঙ্গে জিহাদি যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। খবরে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলা প্রকট আকার ধারণ করেছে। জার্মানির প্রায় অর্ধেক মানুষ এখন আর শরণার্থীদের হাসিমুখে বরণ করে নিতে রাজি নন। অনেকে মনে করেন ইরাক ও সিরিয়া থেকে এই শরণার্থীদের ভেতরেই ছদ্মবেশে লুকিয়ে আছে জঙ্গিরা। অনেক সমালোচনা সহ্য করে মারকেল স্বাগতম জানিয়েছেন চরম বিপদাপন্ন শরণার্থীদের। সেই তারাই যখন দেশে প্রবেশ করে সহিংসতা ঘটায় তখন তার দায় গিয়ে বর্তায় মারকেলের কাঁধে। এই সংকটেও পূর্বের উদার নীতিতেই শক্তভাবে স্থির থাকছেন তিনি। মারকেল বরাবরই মানবতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। শুধু শরণার্থী নীতিতেই না, গোটা ইউরোপে তার নেতৃত্ব দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী। সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাগুলোর প্রতিক্রিয়ায় মেরকেল শরণার্থীদের প্রতি কঠোর না হয়ে অন্যান্য নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছেন। বিশেষ করে অস্ত্র ও তথ্য নিয়ন্ত্রণের উপরে। বিবিসি, রয়টার্স, ডিডব্লিউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।