বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে সে হিসেবা বরিশালে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ পুরো বিভাগে ল্যাব আছে মাত্র একটি।
তাই বরিশাল বিভাগে বাড়ছে কোভিড-১৯ পরীক্ষার চাহিদা। আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবাচিম) স্থাপিত বরিশাল বিভাগের একমাত্র আরটি-পিসিআর ল্যাবে বাড়ছে ব্যস্ততা। তারা হিমশিম খাচ্ছে চাপ সামলাতে।
গত ফেব্রুয়ারিতে উদ্বোধন করা এই ল্যাবটিতে কোনো ভাইরোলজিস্ট নেই। কেবলমাত্র একটি আরটি-পিসিআর মেশিন এবং ১১ জন টেকনোলজিস্ট নিয়ে চলছে ল্যাবের কার্যক্রম। বরিশাল বিভাগ থেকে সংগ্রহ করা প্রায় অর্ধেক নমুনাই কেবল পরীক্ষা করা যাচ্ছে এই ল্যাবে।
ল্যাবের ইনচার্জ ও শেবাচিমের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. একেএম আকবর কবির জানান, আরটি-পিসিআর মেশিনে প্রতি শিফটে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা তিন শিফটে প্রতিদিন ২৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করতে পারছি। এ পর্যন্ত আমরা মোট ১০ হাজার ৫০০টি নমুনা পরীক্ষা করেছি।’
‘প্রতিদিন পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের টেকনোলজিস্টরা দিন-রাত কাজ করছেন। তারা কোয়ারেন্টিনেও থাকতে পারছেন না। আমাদের ভাইরোলজিস্টসহ আরও প্রশিক্ষিত টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন’, বলেন তিনি।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, ‘বিভাগের ১০২টি টেকনোলজিস্ট পদের মধ্যে মাত্র ৪৪টি পূরণ হয়েছে। যার ফলে সংকট রয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন পুরো বিভাগ থেকে প্রায় ৪০০টি নমুনা সংগ্রহ করছি। এর মধ্যে ২০০টি পাঠিয়ে দিচ্ছি ঢাকায় এবং বাকিগুলো বরিশালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
‘পিসিআর ল্যাবটির সক্ষমতার চেয়ে পরীক্ষার চাহিদা বেড়েছে এবং চাপ তৈরি হয়েছে’, যোগ করেন ডা. বাসুদেব।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশন এক মাস বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করার পর এখন নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রেখেছে। কারণ, তাদের দুই জন নমুনা সংগ্রহকারীর কোভিড-১৯ পজিটিভ।’
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল শাখার সদস্যসচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘বরিশাল বিভাগের এক কোটি মানুষের জন্য মাত্র একটি পিসিআর ল্যাব আছে। তাই মানুষ সময় মতো পরীক্ষার রিপোর্ট পাচ্ছে না। স্বাস্থ্যসেবার জন্য যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।