নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দ্বিতীয় দফার পরীক্ষাতেও পাকিস্তানের ১৮ ক্রিকেটারের কোভিড-১৯ নেগেটিভ এসেছে। আর প্রথম দফায় পজিটিভ আসা দশ ক্রিকেটারের মধ্যে ৬ জনের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এসেছে। তবে এই দশজনকে ছাড়াই গতকালই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ১৮ ক্রিকেটারের সঙ্গে বাড়তি হিসেবে পাকিস্তান স্কোয়াডে নিয়েছে আরও তিনজনকে। সব মিলিয়ে ২২ জনের একটি দল গতকালই লাহোরের আল্লামা ইবকাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ‘বিশেষ’ বিমানে চেপে ম্যানচেস্টারের উদ্দেশ্যে পাকিস্তান ছাড়ে বলে জানিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম খান জানিয়েছেন প্রথম দফায় নেগেটিভ আসা ১৮ ক্রিকেটারের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষাতেও নেগেটিভ ফল এসেছে। টানা দুটি পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ আসাতে ইংল্যান্ড সফরের জন্য তারা চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন। তাদের সঙ্গে দলে যোগ দিচ্ছেন মুসা খান ও রোহাইল নাজির। এছাড়া ইংল্যান্ডে থাকা বাঁহাতি স্পিনার জাফর গোয়াহারও দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
চলতি সপ্তাহে প্রথম পরীক্ষাতে শাদাব খান, হারিস রউফ, হায়দার আলি, ফখর জামান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ওয়াহাব রিয়াজ, ইমরান খান, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ হাসনাইন ও কাসিফ ভাট্টির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরমধ্যে কোন উপসর্গ না থাকায় অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হাফিজ নিজ উদ্যোগে একটি পরীক্ষা করে টুইটারে নিজেকে করোনা নেগেটিভ ঘোষণা করেন। এতে তাকে তিরস্কৃত করে বোর্ড। এই দশজনের মধ্যে দ্বিতীয় পরীক্ষায় হাফিজ, ওয়াহাব, ফখর, শাদাব, রিজওয়ান ও হাসনাইনের শরীরে করোনার অস্বস্তি মেলেনি। কিন্তু একবার পজিটিভ আসায় তারা আপাতত ছাড়পত্র পাচ্ছেন না তারা। আজ এই ছয়জনের তৃতীয় দফায় পরীক্ষা করা হবে। তখন ফল নেগেটিভ এলে ইংল্যান্ড যেতে পারবেন তারা। আর দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও শনাক্ত বাকি চার ক্রিকেটার ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে একেবারেই বাদ পড়েছেন।
ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তান তিনটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে। ইংল্যান্ড পৌঁছে পাক দল ১৪ দিনের বাধ্যতাম‚লক কোয়ারেন্টিনে থাকবে। এরপর দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের সফর। সফরের সবগুলো ম্যাচই জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে দর্শকশ‚ন্য মাঠে আয়োজিত হবে। এর আগে করোনা পরীক্ষা নাটকে ১০ ক্রিকেটারের যাত্রা পিছিয়ে গেছে অন্তত এক সপ্তাহের জন্য। তবু সিরিজ শুরু হতে যেহেতু এখনো অনেক বাকি, স্বাগতিকদের হারানোর স্বপ্ন নিয়েই পাকিস্তান ছাড়ছেন টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলী।
জৈব-নিরাপদ কন্ডিশনে ১৪ দিন থাকার পর স্বাভাবিকভাবে অনুশীলন ও খেলা শুরু করতে পারবে পাকিস্তান। তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না আজহার। বহুদিন পর ক্রিকেট মাঠে ফেরার আনন্দ তাই লুকাননি গতপরশু এক ভিডিও কনফারেন্সে। নিজেদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে উচ্ছ্বসিত আজহার শুধু ব্যাটসম্যানদের একটু সহযোগিতা চান। তাহলেই নাকি ইংল্যান্ডকে সিরিজে হারাতে পারবে তার দল, ‘আমার মনে হয়, যদি আমাদের ব্যাটিং ৩০০ বা এর বেশি তুলতে পারে, আমরা ইংল্যান্ডকে হারাতে পারব। গত কয়েক সফরে আমরা দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছি এবং ভালো করেছি।’
দলটির সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফরগুলোও আশা দেখাতে পারে পাকিস্তানকে। ২০১৬ সালে চার টেস্ট সিরিজে ২-২ আর দু’বছর পর দুই ম্যাচের সিরিজটি শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়। তার সঙ্গে এবার তারুণ্যনির্ভর বোলিং আক্রমণ নিয়ে প্রচন্ড আশা দেখাচ্ছে আজহারকে, ‘আমার ধারণা আমাদের পেস ও স্পিন আক্রমণ ইংল্যান্ডের ভালোই পরীক্ষা নেবে। শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ অথবা মোহাম্মদ হাসনাইনের (করোনা পরীক্ষার ফলে ইংল্যান্ড যেতে পারেন নি) ইংল্যান্ডের ভালো করার ভালো সম্ভাবনা আছে। সেখানে আমাদের বোলিংয়ের ভালো অভিজ্ঞতাও আছে।’
পেসারদের ওপর অনেক ভরসা রাখছেন আজহার। কিন্তু ক্রিকেটের নতুন নিয়মে এখন লালা ব্যবহার করা যাবে না। ফলে বল চকচকে রাখা কঠিন হবে। রিভার্স সুইং পাওয়া তো আরও কষ্টকর। কিন্তু আজহারের কাছে এ বিষয়গুলো গুরুত্ব পাচ্ছে না, ‘আমার মনে হয় না এটা কোনো বড় সমস্যা। পেসাররা অনেক ঘামে আর ডিউক বলে মোমের আস্তর পনেক। ফলে বল লম্বা সময় ধরে চকচক করে। আর এটা ঘাম দিয়েও চকচকে রাখা যায়। ইংল্যান্ডে বোলাররা ডিউক বলে এমনিতেই মুভমেন্ট পায়। আর লালা ব্যবহার না করার মানে হলো বোলারদের রিভার্স সুইং করানোর চেষ্টা আরও বেশি করে করতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।