নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ২০১৪ সালের পহেলা ডিসেম্বর ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। তার পর থেকেই ঝলমলে তার ব্যাট। গত বছরটি তো রীতিমত সোনায় মোড়ানো এই ওপেনারের। বিশ্বকাপে স্বভাবসুলভ মারমুখী ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন, এরপর থেকেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে নিয়মিত। ১৬ ওয়ানডেতে ৪৯.৪২ গড়ে ৬৯২ রান। একটি সেঞ্চুরিসহ আছে ৪টি ফিফটিও। তবে টি-২০তে এসেই যেন মুখ থুবড়ে পড়ছে তার ব্যাট। ১৯ ম্যাচে ১৫.৭৩ সর্বসাকুল্যে সংগ্রহ ২৯৯ রান। চলতি বছরটি যেন আরো বিমর্ষ, ভাগ্য বিধাতা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন সৌম্য সরকারের দিক থেকে। জাতীয় দলের হয়ে ব্যর্থতা তো ছিলোই, গতমাসে শেষ হওয়া প্রিমিয়ার লিগেও আলো ছড়ায়নি এই বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট। ১৫ ম্যাচে ২৩.২৬ গড়ে করেছেন ৩৪৯ রান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গিয়ে হঠাৎ করেই ছন্দ হারিয়ে ফেলেন সৌম্য। এরপর স্বরূপে ফিরতে পারেননি নিজের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতেও। বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মনে করেন, পরের সিরিজগুলোয় সাফল্য পেতে সঠিক কৌশলের সঙ্গে মানসিক প্রস্তুতিটাও গুরুত্বপূর্ণ, ‘বোলাররা তো অবশ্যই সুযোগ নেবে। ব্যাটসম্যানদেরও সুইং দেখে বুঝেশুনে খেলতে হবে। বোলিং মেশিনে সুইং বাড়িয়ে নিয়ে খেলার সুযোগ রয়েছে আমাদের। তবে আমার মনে হয়, সুইং বোলিং খেলতে মানসিক প্রস্তুতিটা বেশি জরুরি।’
আগামী বছর ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা রয়েছে বাংলাদেশের। পেস সহায়ক উইকেটে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন সৌম্য, ‘ওখানে তো সব বাউন্সি উইকেট পাব। ওদের ওখানে সুইং অনেক বেশি হবে। সেভাবে চিন্তা করেই প্রস্তুত হতে হবে। আমার মনে হয়, সুইং বল নিয়ে অনুশীলন করে গেলে আমরা ভালো করতে পারব।’
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলেন সৌম্য, ‘টি-টোয়েন্টি অনেক দিন খেলেছি। চেষ্টা করছি এই সংস্করণে ভালো করতে। তবে আমি সফল হতে পারিনি। ভুলের সংখ্যা বেশি ছিল।’ প্রিমিয়ার লিগে ভালো করতে না পারার ব্যাখ্যাটাও সৌম্য দিলেন এভাবেই, ‘এটা আরেকটা সংস্করণ। যদিও একদিনের ক্রিকেট আমার প্রিয় সংস্করণ। তারপরও টি-টোয়েন্টির কারণে ছন্দটা হারিয়ে ফেলেছিলাম। ছন্দে ফিরতে প্রিমিয়ার লিগে কিছু পরিবর্তনও এনেছিলাম, যেমন- একটু ধীরে খেলা। পরে চিন্তা করে দেখেছি, আগে যেভাবে খেলতাম, ওটাই ভালো ছিল। আবারও সেভাবে খেলার চেষ্টা করেছি। প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিকে কিন্তু ভালোই করছিলাম। যে ভুলগুলো করেছি, সামনে লক্ষ্য থাকবে সেগুলো সংশোধন করা।’ সৌম্যকে অবশ্য আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে প্রিমিয়ার লিগে তাঁর ৮৪, ৪৭, ৪০ রানের তিনটি ইনিংস। তবে নিজের ভুলটা চিহ্নিত করতে পারাটা একটা বড় স্বস্তি। এখন তাঁর লক্ষ্য, সামনে ইংল্যান্ড সিরিজের আগে স্বরূপে ফেরা, ‘পরবর্তী খেলা ওটাই। এই সিরিজে আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। ওয়ানডেতে সুযোগ পেলে অবশ্যই আমাকে ভালো খেলতে হবে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হতে পারে সুইং বোলিং। জেমস অ্যান্ডারসন, ট্রেন্ট বোল্টদের মতো দারুণ সব সুইং বোলারদের বিপক্ষে খেলতে হবে মাশরাফি বিন মুর্তজা-মুশফিকুর রহিমের দলকে; যার জন্য প্রস্তুত থাকা জরুরি বলে মনে করছেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য। প্রতিপক্ষের আগুনে গোলা সামলানোর শুরুটা হবে তামীম ইকবাল-সৌম্যকে দিয়ে। সুইং বোলিংয়ের বিপক্ষে অসাধারণ কিছু ইনিংস আছে দেশসেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামীমের। তার দেখানো পথ ধরেই হাঁটতে চান তরুণ সতীর্থ সৌম্য। আপাতত সুইং সামলানোর কৌশল শেখাই তার কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
বাংলাদেশের উইকেটেও সুইং বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্যের পরীক্ষা নিতে পারেন অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডরা। নিউজিল্যান্ডের উইকেট তো সুইং বোলিংয়ের জন্য আদর্শ। নিজেদের পরের সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। আগামী ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।