Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রহমতগঞ্জেও হারলো শেখ রাসেল

প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:২৮ এএম, ২৯ জুলাই, ২০১৬

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : শুধু ভালো ফুটবল খেললেই হবে না, জয় পেতে হলে গোলও পেতে হবে। গতকাল বিপিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে ওই কথাটিই যেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের জন্য প্রযোজ্য হলো। এই দলটি পুরো ম্যাচে ভালো খেললেও শেষ ১৫ মিনিট রহমতগঞ্জের চাপের মুখে ০-২ গোলে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাদের। গোল দু’টি করেন রহমতগঞ্জের মিডফিল্ডার নয়ন ও ডিফেন্ডার আলাউদ্দিন। এবারের লীগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উত্তর বারিধারার কাছে ০-১ গোলে হেরে যায় শেখ রাসেল। গতকাল তাদেরকে আরো একটি পরাজয়ের তিলক পরিয়ে দিল রহমতগঞ্জ। বিজয়ী দল রহমতগঞ্জ ২ ম্যাচ শেষে ৪ এবং শেখ রাসেল সমসংখ্যক খেলা শেষে কোনো পয়েন্টের মুখ দেখেনি।
শুরু থেকেই শেখ রাসেল মধ্যমাঠ আয়ত্তে এনে প্রতিপক্ষের ওপর বিদেশি রিক্রুট পল ইমিলিকে দিয়ে কখনো ডান প্রান্ত দিয়ে আবার কখনো বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে। ম্যাচের বয়স যখন ১৭ মিনিট তখন বামপ্রান্ত দিয়ে শেখ রাসেলের বিদেশি ফরোয়ার্ড পল ইমিলি এগিয়ে গিয়ে মাইনাস করেন। ডি-বক্সে বল পেয়ে যান আরেক ফরোয়ার্ড মিন্টু। কিন্তু গোলকিপার মাসুমকে একা পেয়েও গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। তার শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ১২ মিনিট পর আবারও আক্রমণে যায় শেখ রাসেল। এবার পল ইমিলি ডানপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে ডি-বক্সে দাঁড়ানো মিন্ডফিল্ডার রাজুকে নির্ভুল পাস দেন। তবে গোলমুখে রাজুর দুর্বল শট কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি রহমতগঞ্জের গোলকিপার মাসুমকে। তিনি কর্নারের বিনিময়ে অনায়াসেই দলকে রক্ষা করেন। ৪৮ মিনিটে পরিকল্পিত একটি আক্রমণ থেকে গোলের সুযোগ সৃষ্টি হয় রহমতগঞ্জ। মিডফিল্ডার শাহেদ ডি-বক্সে ঢুকে পড়ে গোলমুখে জোরালো শট নেন। সেটি শেখ রাসেলের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল মাঠের বাইরে চলে যায়। মিনিট পাঁচেক পর পাল্টা আক্রমণে গিয়ে শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ড পল ইমিলি ডি-বক্সে ঢুকে গোলমুখে যে শট নেন তা ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ৭৬ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে গিয়ে রহমতগঞ্জের বিদেশি ফরোয়ার্ড জুনপিও ডি-বক্সে দাঁড়ানো মিডফিল্ডার নয়নকে পাস দেন। নয়ন কোনো ভুল না করে জোরালো শটে গোলকিপার লিটনকে বোকা বানিয়ে বল শেখ রাসেলের জালে পাঠিয়ে দেন ১-০। হঠাৎ গোল হজম করে এলোমেলো হয়ে যায় শেখ রাসেলের খেলা। গুছিয়ে উঠার আগেই আরো একটি গোল হজম করে বসে তারা। এবার গোলদাতা রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার আলাউদ্দিন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে গোলমুখে হাফভলি করেন তিনি। এবারও গোলকিপার লিটনকে হতাশায় ডুবিয়ে বল জালের ঠিকানা খোঁজে নেয় ২-০। তার এই গোলের সুবাদে দ্বিতীয়বারের মতো দলকে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন। সেইসঙ্গে দলের জয়ও নিশ্চিত করেন।
ম্যাচ শেষে শেখ রাসেলের কোচ একেএম মারুফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তর বারিধারার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। তবে রহমতগঞ্জের সঙ্গে আমরা ভালো খেলেছি। কিন্তু ফিনিশিং দুর্বলতার কারণে আমরা গোল পাইনি। লীগে পর পর দু’টি ম্যাচে হারলেও এখনই হাল ছাড়ছি না আমরা। পরের ম্যাচে অবশ্যই কামব্যাক করব। সময় এখনও অনেক আছে।’ বিজয়ী দল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির কোচ কামাল আহমেদ বাবু বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশিত জয় পেয়েছি। এবারের লীগে আমরা চ্যাম্পিয়ন ফাইট দিতে চাই। এই ম্যাচে আমরা জয় পেলেও ভালো খেলেছে শেখ রাসেল। তবে আমাদের খেলোয়াড়রা ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিট ভালো খেলেছে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রহমতগঞ্জেও হারলো শেখ রাসেল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ