বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় করোনা সন্দেহে এক হোমিও চিকিৎসকের বাড়ির প্রবেশ পথে বেড়া দিয়ে যাতায়েত বন্ধ করে দিয়েছে তার প্রতিবেশী। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ সেই বেড়া খুলে দিতে গেলে ওই প্রতিবেশী গ্রাম পুলিশকে মারধর করেন। এ বিষয়ে ওই গ্রাম পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আজ রোবরা সকালে উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, কালিকাবাড়ি গ্রামের শশিভুষণ মন্ডলের ছেলে সূর্যকান্ত মন্ডল গত ১ সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। এ খবর জানতে পেরে তার প্রতিবেশী মহানন্দ হালদারের ছেলে তারক হালদার বাড়ির প্রবেশ পথে বেড়া দিয়ে হোমিও চিকিৎসক সুর্যকান্ত মন্ডলের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সূর্যকান্ত মন্ডল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অমৃত লাল হালদারকে জানান। চেয়ারম্যান অমৃত লাল হালদারের নির্দেশে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ অমল পান্ডে বেড়া খুলে দিতে গেলে তারক হালদার লোকজন নিয়ে অমল পান্ডেকে মারধর করে। এ ঘটনার পর অমল পান্ডে বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে তারক হালদারে কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অমল পান্ডেকে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার জায়গায় বেড়া দিয়েছি। সূর্যকান্ত মন্ডলের বাড়িতে প্রবেশের অন্য পথ রয়েছে।
হোমিও চিকিৎসক সূর্যকান্ড মন্ডল বলেন, তারক হালদার বেড়া দিয়ে আমার যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানালে তিনি স্থানীয় গ্রাম পুলিশ অমর পান্ডেকে বেড়া খুলে দিতে বলেন। অমল পান্ডে বেড়া খুলে দিতে আসলে তারক হালদার তাকে মারধর করে।
চেয়ারম্যান অমৃত লাল হালদার বলেন, করোনা সন্দেহে তারক হালদার বেড়া দিয়ে সূর্যকান্ড মন্ডলের বাড়ির পথ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি আমি জানার পর গ্রাম পুলিশ অমল পান্ডেকে বেড়া খুলে দিতে বলি। গ্রাম পুলিশ অমল বেড়া খুলতে গেলে তাকে মারধর করে। পরবর্তীতে আমি লোক পাঠিয়ে বেড়া খুলে দেই।
গ্রাম পুলিশ অমল পান্ডে বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি বেড়া খুলতে গেলে তারক হালদার আমাকে লোকজন নিয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
কোটালীপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান গ্রাম পুলিকে মারপিটের কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।