Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সমুদ্র-সম্পদে অংশীদারিত্বের কথা জানাল বাংলাদেশ

জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক সেমিনার

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনাসমূহ পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে নিজস্ব সমুদ্র সীমার বাইরে বৈশ্বিক সমুদ্র-সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণের জন্য আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে একথা তুলে ধরেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। ‘সমুদ্রতলের সম্পদে টেকসই উন্নয়ন ঘটিয়ে প্রাপ্ত সুবিধার ন্যায়সঙ্গত বন্টন : স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের সুযোগ’- শীর্ষক এই ব্রিফিংটি গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, সমুদ্রতলের সম্পদে টেকসই উন্নয়ন ঘটিয়ে প্রাপ্ত সুবিধার ন্যায়সঙ্গত বন্টন: স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের সুযোগ’- শীর্ষক এক ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। সমুদ্র-তলদেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ (আইএসএ) এবং স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত ও ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের জোটের সভাপতিরা এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
ব্রিফিংয়ে গভীর সমুদ্রে খনন নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক আইনগত কাঠামোর উন্নয়ন, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য চুক্তিবদ্ধকরণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত ও ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারে এমন সক্ষমতা বিনির্মাণে আইএসএ যে পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে তা সদস্য দেশগুলোর সামনে তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক সমুদ্রতলদেশ কর্তৃপক্ষের সেক্রেটারি জেনারেল মাইকেল ডবিøউ লজসহ অন্যান্যরা। রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ সমুদ্র সম্পদের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে আর সুনীল অর্থনীতি এক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। সক্ষমতা বিনির্মাণ, জ্ঞান বিনিময়, বিশেষ করে প্রশিক্ষণ, বিকল্প কারিগরি কর্মী তৈরি, গবেষণা ও অধ্যয়নের সুযোগ সৃষ্টিসহ এতদবিষয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলো যেন সহযোগিতা পায় তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। উন্নয়নশীল দেশগুলো যেন সমুদ্র-সম্পদ আহরণ করে তা কাজে লাগাতে পারে সে লক্ষ্যে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। স্থায়ী প্রতিনিধি আইএসএর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।



 

Show all comments
  • Jack Ali ২৮ জুন, ২০২০, ১২:৪৩ পিএম says : 0
    why not we have our own technology to reap the benefit of Blue Economy,, reason behind our government is .............., they do not care about our country they just want to stay in power and loot our Hard Earned Tax Payers Money. If our country is ruled by the Law of Allah [SWT] then would have stand on our leg... now we are legless and depending on other country to do everythings in our country.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ