গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর পুরান ঢাকার হক মার্কেটে যৌথভাবে ফেব্রিকসের ব্যবসা শুরু করেন জাহিদুল ইসলাম রিপন ও নজরুল ইসলাম মিঠু নামের দুই ব্যক্তি। কিন্তু রিপন ২৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। পরে তাকে খুলনা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ব্যাংক থেকে ২৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেন ব্যবসায়ী মিঠু। সেখান থেকে তিনি এক লাখ টাকা পাওনাদারকে দেন। বাকি ২৪ লাখ টাকা দোকানের টেবিলের নিচে রেখে জোহরের নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে এসে দেখেন টাকাও নেই, লাপাত্তা ব্যবসায়িক পার্টনার রিপনও।
গত ২৩ জুনের ওই ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন মিঠু। মামলা নং ১৬। ওই মামলায় তিনি সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে পার্টনারের নাম উল্লেখ করেন।
টাকা চুরির পর ঘন ঘন অবস্থান বদলানোয় রিপনকে ধরতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে।অবশেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে খুলনা থেকে জাহিদুল ইসলাম রিপনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার অন্যরা হলেন, রিপনের ভাগ্নে অহিদুর রহমান মিলন (২৬) ও খালা শাশুড়ির ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৫)।
কোতোয়ালি পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে রিপনসহ গ্রেফতার তিনজনই টাকা চুরি কথা স্বীকার করেছেন এবং চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
কোতয়ালী থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার সাইফুল আলম বলেন, মামলার পর পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার এবং চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারে তৎপর হয়। তবে আসামি ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করায় প্রথমে পুলিশের নানা কৌশল কাজে আসছিল না। কিন্তু পুলিশ না থেমে উদ্যমী হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে।
টানা দুইদিনের চেষ্টার পর আসামির সর্বশেষ অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ পৌঁছে যান খুলনায়। আসামি রিপনকে আটক করা হয় কিন্তু তিনি টাকা চুরি কথা স্বীকার করেননি। তবে পুলিশ টাকা চুরির ঘটনায় রিপনের সংশ্লিষ্টতা শতভাগ নিশ্চিতের পর রিপনের খালা শাশুড়ির ছেলে আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর সব কিছু স্বীকার করে রিপন। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে খালা শাশুড়ির বাসা থেকে চুরি যাওয়া ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
টাকা চুরির পরিকল্পনা সম্পর্কে রিপন পুলিশকে জানায়, ২৪ লাখ টাকা চুরির পর রিপন কয়েকটি স্থান বদলে খুলনায় আশ্রয় নেয়। সেখানে ভাগনে মিলনকে নিয়ে পরিকল্পনা করে রিপন আর ঢাকায় ফিরবে না। খুলনাতেই বাসা ভাড়া নেয়। ওই ভাড়া বাসাতে থেকে চোরাই টাকায় নতুন করে তারা ব্যবসা করবে। মূলত: চুরি যাওয়া টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনায় জড়িত থাকায় ভাগ্নে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।