বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাবার জন্য দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় কয়েকজন সন্ত্রাসী এক কিশোরীকে রাস্তা থেকে মুখ বেধে তুলে নিয়ে ইট ভাটায় নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ছাড়া পেয়ে তার চিৎকারে লোকজন উদ্ধার করে । এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাতে গাইবান্ধা সদর থানায় গ্যাং রেপের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মেয়েটি তার বাবার জন্য ওষুধ আনার জন্য বালুয়া বাজারে যায়। বালুয়া বাজার থেকে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম, শিহাব ও আরও কয়েকজন মিলে তার পথ রোধ করে দাঁড়ায়। তারা মেয়েটির মুখে কাপড় গুজে টেনে হেচড়ে রিকসা থেকে নামিয়ে পাশের ধোপাডাংগা গ্রামের একটি ভাটার নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

ধর্ষিতার পিতা গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের পাবর্তীপুরের বাসিন্দা জানান। তার কিশোরী মেয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকায় পার্লারে কাজ করতো। কিন্তু করোনার কারনে চাকুরী হারিয়ে বাড়িতে চলে আসে। রামচন্দ্রপুরের কয়েকজন চিহ্নিত বখাটে রফিকুল ইসলাম, শিহাব ও তার সহযোগীদের কু-নজরে পরে মেয়েটির ওপর।