পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার চর অঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। আজ শুক্রবার ৯টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানি পয়েন্টে তিস্তা পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। ব্যারাজ রক্ষার্থে ৪৪টি ¯øুইস গেট খুলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে ভারি বর্ষণ আর ভারত থেকে আসা পানির ঢলের তিস্তা নদীর চর এলাকাগুলোতে লোকজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধিতে চরের লোকজন চরম বিপাকে আছেন। উজানের পানি ও ভারী বর্ষণের কারণে বন্যা ও জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এ দিকে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ৫ টি উপজেলার নদীর চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণ জানিয়েছেন।
সদর উপজেলা রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন জানান, আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষই পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, গড্ডিমারীর ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের পরিবারগুলো নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়তেই দুর্ভোগে পড়েন। নতুন করে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র দোয়ানী ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকোশীলী রবিউল ইসলাম জানান, বৃষ্টি আর উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সে: মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলায় প্রায় ১০ হাজার চরবাসী পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।