পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘদিন গণপরিবহণ বন্ধ ছিল। প্রায় আড়াই মাস পর ভাড়া বাড়িয়ে ‘দুই সিটে এক যাত্রী’ কৌশলে গণপরিবহন চালু হয়। সীমিত পর্যায়ে রাজধানীতে চলাচল করা গণপরিবহনে যাত্রী সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বাস মালিকদের নেয়া সুরক্ষা ব্যবস্থাপনার ওপর সাধারণ যাত্রীরা আস্থা রাখতে না পারায় কার্যত এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
যাত্রীরা বলছেন, যেসব শর্তে গণপরিবহন চালু করা হয়; সেই স্বাস্থ্যবিধির ধারে কাছেও নেই পরিবহন। এ জন্য তারা গণপরিবহন এড়িয়ে চলছেন। যাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবহনের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন মালিকরা। এছাড়া, যাত্রীদের অভিযোগ, করোনাকালের জন্য সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ সাংবাদিকদের বলেন, করোনার কারণে যাত্রী সংখ্যা কমেছে। মালিকরা কম যাত্রী নিয়েই গাড়ি চালাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই চলবে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজধানী ঢাকা থেকে জেলা পর্যায়ে রুটগুলোতে চলাচলকারী দূর পাল্লার বাস এমনিতেই কম। আগে যে পরিমাণ যাত্রী বাসে জেলা শহর থেকে রাজধানীতে আসা যাওয়া করতেন এখন তার এক চতুর্থাংশ করেন না। রাজধানী ঢাকায় প্রায় সবগুলো রুটেই বাস চলছে। গত কয়েকদিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ডাকাডাকি করেও নির্ধারিত সংখ্যক যাত্রী পাচ্ছেন না বাস কন্ডাক্টররা। তারা জানিয়েছেন, করোনার কারণে মানুষ গণপরিবহন এড়িয়ে চলছে। কম দূরত্বের গন্তব্যে অনেকেই হেঁটে যাতায়াতে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ বাইসাইকেলেও অভ্যস্ত হচ্ছেন। এছাড়া ভাড়া বেশি হওয়ায় মানুষ বাসে উঠছে না।
যাত্রাবাড়ির বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। চাকরি করেন গুলিস্তানের জাতীয় গ্রস্থ কেন্দ্রে। জানালেন, আগে বাসে করে অফিসে আসতেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণের ভয়ে এখন হেঁটে যাতায়াত করেন। বললেন, গণপরিবহনে যেসব স্বাস্থ্যবিধির বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে, এর মধ্যে কেবল কয়েকটি আসন ফাঁকা রাখা ছাড়া আর কিছুই মানা হচ্ছে না। মাস্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। বাসে ওঠা যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে না। হ্যান্ড সানিটাইজার দেয়া হয় না। বাসের ভেতরে বারবার জীনাণুনাশক ছিটানোর শর্ত থাকলেও সারাদিনে একবারও ছিটানো হচ্ছে না। অথচ ভাড়াও বেশি নেয়া হচ্ছে।
মিরপুর ১০ নম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত বাসের নির্ধারিত যাত্রী ভাড়া ১৭ টাকা। করোনার আগে ভাড়া নেয়া হতো ২৫ টাকা। এখন যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা। অথচ আগের ভাড়ার সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৬০ শতাংশ যুক্ত হলে ভাড়া দাঁড়ায় ৩২ টাকা। শেওড়াপাড়া থেকে প্রেসক্লাবে যেতে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ১৪ টাকা। কিন্তু সেটা অমান্য করে নেয়া হতো ২০ টাকা। ১৪ টাকার সঙ্গে ৬০ শতাংশ যুক্ত করা হলে ভাড়া দাঁড়ায় সাড়ে ২২ টাকা। কিন্তু এখন আদায় করা হচ্ছে ৪০ টাকা। শনিরআখড়া থেকে মতিঝিল নির্ধারিত ভাড়া ১০ টাকা। আগে নেয়া হতো ১৫ টাকা। এখন নেয়া হচ্ছে ৩০ টাকা।
মিরপুর ১২ নম্বর থেকে সদরঘাট রুটে চলাচলকারী বিহঙ্গ পরিবহনের হেল্পার আকতার হোসেন বলেন, সরকারি ভাড়া কত সেটা তো জানি না। তবে আমাদের মালিক মিরপুর থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত ৪৫ টাকা নিতে বলেছে। সেটাই নিচ্ছি। এর বেশি বলতে পারবো না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।