ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইংল্যান্ডে চলে এসেছে সেই কবে। তবে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা একত্র হয়েছে মাত্র গতকালই। সাউদাম্পটনের এজিয়েস ওভালে ঘাঁটি গেড়ে ৮ জুলাই শুরু টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি সাড়বেন তারা। কিন্তু ওই দলে নেই তরুণ ফাস্ট বোলার জফরা আর্চার। থাকবেনই বা কীভাবে, ‘করোনাভাইরাস মুক্ত’ বা ‘করোনা নেগেটিভ’ এই সনদ পেতেই যে পরীক্ষার পর পরীক্ষা দিতে হচ্ছে তাঁকে।
সপ্তাহের শুরুতে আর্চারের পরিবারের এক সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মতোই উপসর্গ ছিল তার। তখনই আর্চার ও তার পরিবারের সবাই করোনা পরীক্ষা করান। প্রথম পরীক্ষায় আর্চার কিংবা তার পরিবারের কারও শরীরেই করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েনি। তবে আরেকবার পরীক্ষা করে আবারও ‘নেগেটিভ’ হলেই শুধু দলে যোগ দিতে পারবেন আর্চার। সেই পরীক্ষাটা হবার কথা গতকাল (রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত ফল জানা জায়নি)।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভুত আর্চার এর আগে ভুগেছেন কনুইয়ের চোটে। ডেইলি মেইলে লেখা নিজের কলামে তা থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠার কথাই লিখেছেন ২৫ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার। ওই চোটের কারণে ইংল্যান্ডের সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি আর্চার। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরের দল থেকে পুরোপুরিই ছিটকে পড়েন তিনি।
চোট থেকে সেরে ওঠার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি টেস্টেই খেলার আশা করেছিলেন আর্চার। কিন্তু তার সেই ইচ্ছায় প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসিয়ে দিয়েছে করোনা। সেই প্রশ্নবোধক চিহ্ন অবশ্য আজকালের মধ্যেই উঠে যেতে পারে।
আর্চারের অন্য সতীর্থদের কেউ এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হননি। করোনা হানা দেয়নি সফরে আসার ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবিরেও। নিয়মিত বিরতিতেই দুই দলের ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে।