মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তান হাই কমিশনের কর্মীসংখ্যা অর্ধেক করতে বলল ভারত। পাশাপাশি, ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীসংখ্যাও অর্ধেকে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।
চীন ও নেপালের পর এবার পাকিস্তানের সঙ্গেও সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে ভারতের। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এদিন একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে পাকিস্তানকে হাই কমিশনের কর্মীসংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। ভারতও একই কাজ করবে এবং ইসলামাবাদে দূতাবাসের কর্মীসংখ্যা অর্ধেক করে দেবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, ভারত বারবার পাক হাই কমিশনের কর্মীদের আচরণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। অভিযোগ হল, অনেক কর্মীই চরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত এবং তারা জঙ্গিদের মদত দেয়। গত ৩১ মে হাই কমিশনের দুই কর্মীকে চরবৃত্তি করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়েছিল।
ওই দুই পাক হাই কমিশন কর্মী দিল্লি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। তারা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে নথিপত্র নিচ্ছিলেন। এরপর তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, পাকিস্তানে ভারতীয় কর্মীরা প্রকৃত কূটনৈতিক কাজ করতে গিয়ে বাধা পান। সম্প্রতি দুইজন দূতাবাস কর্মীকে বন্দুক দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের আচরণ ভিয়েনা কনভেনশন বিরোধী। সেইসঙ্গে দূতাবাসকর্মীদের সঙ্গে ব্যবহার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে তাও তারা ভঙ্গ করছে। উল্টো তারা সীমান্ত অঞ্চলে সন্ত্রাসকে মদত দিচ্ছে ও সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করছে। তাই পাক হাইকমিশনের কর্মীসংখ্যা অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
পাকিস্তানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে ডেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের এখন হাই কমিশনে কর্মী সংখ্যা ১১০ জন। ফলে সেই কর্মী সংখ্যা সাতদিনের মধ্যে ৫৫ করতে হবে।
ভারতের এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ, প্রথমে এক বা একাধিক কর্মীর কাজ পছন্দ না হলে তাদের ফেরত পাঠাতে বলা হয়। তারপর হাই কমিশনকে ডেকে পাঠানো হয়। এই দুইটি ধাপই এর মধ্যেই দুই দেশ সম্পন্ন করেছে। এরপর কর্মীসংখ্যা কমাতে বলা হয়। সেই সিদ্ধান্তও নিয়ে নিল ভারত। ফলে চীন, নেপালের পর, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরার লক্ষণ প্রকাশ্যে এল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।