মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশিদের কাজের ভিসার উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ বিষয়ে নতুন নীতিমালায় সাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার বিদেশি দেশটিতে চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। সোমবার হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
দক্ষ কর্মীদের জন্য দেয়া এইচ ওয়ান, শ্রমিকদের জন্য এল ওয়ান, গবেষণা ও শিক্ষায় নিযুক্তদের জে-ভিসা এবং মৌসুমি কর্মীদের এইচ টু ভিসাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে। তবে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণসহ কয়েকটি শিল্পের মৌসুমি কর্মীদের ভিসা এই শ্রেণির বাইরে রাখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এখন যারা বৈধ ভিসায় রয়েছেন তারাও কোনো সমস্যায় পড়বেন না। গণমাধ্যমের কর্মীদের কাছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মহামারি পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অ্যামেরিকানদের যত দ্রুত সম্ভব কাজে ফেরাতে চেষ্টা করছেন।’
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নয়া এই সংস্কারের মাধ্যমে সবচেয়ে দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীরাই যাতে এইচ ১ বি ভিসা পান, সেই বিষয়টিতে প্রাধান্য দেয়া হবে। তবে এটাও নিশ্চিত করা হবে যাতে মার্কিন নাগরিকদের কর্মসংস্থানের উপর প্রভাব না পড়ে। অর্থাৎ মার্কিন নাগরিকদের চাকরির ক্ষেত্র সংকুচিত না হয়। এতে মার্কিন নাগরিকদের বেতন ও চাকরি নিশ্চিত হবে। অন্য দিকে উচ্চ মেধাসম্পন্ন ভিনদেশি কর্মীরা আমেরিকায় কাজ পাবেন। মার্কিন অভিবাসন দপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে যে ১ লাখ ৩৩ হাজার বিদেশিকে এইচ১বি ভিসার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল তাদের বেশিরভাগই ছিল ভারত ও চীনের দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। এই স্থগিতাদেশের ফলে এক লাখ ৭০ হাজার লোকের গ্রিনকার্ড অনিশ্চয়তায় পড়ল। এসব বিদেশিকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেতে এখন অপেক্ষা করতে হবে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত। গত এপ্রিলে একবার এসব গ্রিনকার্ড স্থগিত করা হয়েছিল। সোমবার এ স্থগিতাদেশ আরও বাড়ানো হলো।
হোয়াইট হাউসের হিসাবে নতুন সিদ্ধান্তে দেশটির নাগরিকদের জন্য পাঁচ লাখ ২৫ হাজার চাকরি খালি হবে। পাশাপাশি বিদেশিদের স্থায়ী নাগরিকত্বের নিয়মেও সংশোধন আসতে পারে বলে জানা গেছে। সমালোচকরা বলছেন, অভিবাসনে রাশ টানতে করোনা মহামারিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিদেশি কর্মীদের উপর নির্ভরশীল শিল্পসংশ্লিষ্টরা বহুদিন ধরে ট্রাম্পের এমন অভিবাসন নীতির বিরোধিতা করে আসছে। নতুন নীতির কারণে দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্সও। সূত্র : ডেইলি মেইল, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।