নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তাঁকে বলা হয় ইরাকের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। জনপ্রিয় এই সাবেক তারকা দেশের হয়ে খেলেছেন বিশ্বকাপও। ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বিপক্ষে তার গোল চিরস্মরণীয় করে রেখেছে তাঁকে ইরাকের ফুটবলে। ফুটবল মাঠে অসংখ্য ম্যাচ জয়ের নায়ক আহমেদ রাধি শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন করোনাভাইরাসের কাছে। চলে গেলেন পৃথিবী থেকে ৫৬ বছর বয়সেই।
ইরাকের হয়ে ১২১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন রাধি। করেছেন ৬২টি গোল। এর মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় গোল যে কোনো বিচারেই ১৯৮৬ বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বিপক্ষে করা সেই গোলটি। ১৯৮৮ সালে রাধি এশিয়ার সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর কোনো ইরাকি ফুটবলারই এই সম্মান পাননি। ১৯৯৯ সালে এশিয়ার শতাব্দী সেরা ফুটবলারদের তালিকায় নবম স্থানে ছিলেন এই তারকা ফুটবলার। বিশ্বকাপের পাশাপাশি ১৯৮৮ সালে সিউল অলিম্পিকেও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ ইরাকের গালফ কাপ বিজয়ে তার ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
ইরাকি ঘরোয়া ফুটবল খেলেছেন আল রশিদ ও আল জাওরার হয়ে। ১৭ বছরের ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলেছেন ৩৪০টি ম্যাচের মতো। গোল সংখ্যাও দুইশর ওপরে। ১৯৯৭ সালে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষ করেন তিনি।
কিছুদিন আগেই কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতেও ফিরেছিলেন। কিন্তু বাড়িতেই আবারও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তার। আকাশপথে তাঁকে জর্ডানে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু উড়োজাহাজে ওঠার আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। রাধির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ইরাক। দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইরাক তার দেশের অন্যতম সেরা এক সন্তানকে হারিয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।