পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
লিবিয়ায় সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করার যে হুমকি মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আস-সিসি দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তুরস্ক সমর্থিত ঐকমত্যের সরকার। সিসি’র বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় লিবিয়ার জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের মুখপাত্র মোহাম্মাদ গুনুনু মিসরের প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, যিনি লিবিয়াকে নিজ দেশের নিরাপত্তার জন্য দায়ী মনে করছেন, তার উচিত নিজের সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া যাতে মিসর থেকে অস্ত্র ও ভাড়াটে সেনা লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করতে না পারে। তিনি বলেন, লিবিয়া তার কোনো প্রতিবেশী দেশের জন্যই হুমকি নয়। লিবিয়া সংকটে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সউদী আরব জেনারেল হাফতারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। অন্যদিকে তুরস্ক লিবিয়ার জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছে। সিসি শনিবার বলেছিলেন, লিবিয়ায় যদি তুর্কি-সমর্থিত বাহিনীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে তাহলে মিসর দেশটিতে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করবে। লিবিয়ার জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের কাছ থেকে ত্রিপোলির ক্ষমতা দখলের জন্য দেশটির পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী জেনারেল খলিফা হাফতার প্রায় এক বছর ধরে হামলা চালাচ্ছেন। দু’পক্ষের মধ্যে অব্যাহত সংঘর্ষের জের ধরে বর্তমানে ত্রিপোলি সরকারের সেনারা লিবিয়ার সিরতে এবং জুফরা শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসি শনিবার তার বক্তব্যে ত্রিপোলি সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ওই দুই শহর মিসরের নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে কায়রোর রেডলাইন এবং তা দখল করে নিলে লিবিয়ায় জেনারেল হাফতারের সমর্থনে সেনা পাঠাবে কায়রো। ডিপিএ ইন্টারন্যাশনাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।