Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বার্সা আর মেসিই নেইমারের প্রেরণা

প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:৩৬ এএম, ২৯ জুলাই, ২০১৬

স্পোর্টস ডেস্ক : রিও অলিম্পিকের আর মাত্র ৭ দিন বাকি। বিশ্বের মত পুরো ব্রাজিলও এখন কাতর অলিম্পিক জ্বরে। আরো একটু স্পষ্ট করে বললে জ্বরের অন্যতম প্রধান কারণ হল ফুটবল। এই আসর দিয়েই অলিম্পিকে ফুটবলের ‘স্বর্ণ-ক্ষরা’ কাটাতে চায় সেলেসাওরা। এজন্য তাদের স্বপ্ন সারথী হয়ে দলে আছেন একজন নেইমার। অনেকে এটাকে প্রত্যাশার বাড়তি চাপ হিসেবে দেখলেও ব্রাজিল অধিনায়ক নেইমার কিন্তু মোটেও তেমনটা মনে করেন না। বরং এটাকে তিনি ইতিবাচকভাবেই নিতে চান। এজন্য তিনি উদাহরণ হিসেবে নিচ্ছেন বার্সেলোনা আর লিওনেল মেসিকে। তিনি বলেন, “বার্সেলোনায় দারুণ সব খেলোয়াড় আছে, কিন্তু বার্সেলোনায় তো আমরা সবাই মেসির জন্যই খেলি।”
ব্রাজিল ফুটবলের বর্তমান অধ্যয়ের পুরোটাই ব্যর্থতায় ঢাকা। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরের বছর কোপা আমেরিকায় প্যারাগুয়ের কাছে টাইব্রেকারে হেরে কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়া। আর সদ্য শেষ হওয়া কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরে গ্রুপ পর্বের বাধাই পেরোতে পারেনি দুঙ্গার ব্রাজিল। অলিম্পিকের কথা মাথায় রেখে কোপার সর্বশেষ আসরে ছিলেন না নেইমার। এরপর ব্যর্থতার গ্লানি মাথায় নিয়ে কোচের পদ থেকে বিদায় নেন দুঙ্গ। তার পরিবর্তে আসেন রোজারিও মিকালে। সব মিলে ব্রাজিল ফুটবল যে স্থির দশায় আছে, তা বলা যাবে না। অনেকেই মনে করেন, সাম্প্রতিক এই ব্যর্থতা অলিম্পিকে নেইমারদের চাপে রাখতে পারে। তবে এই চাপ সামলাতে পারবেন বলে আশাবাদী নেইমার, “জেতাটা খুব ভালো বিষয়। চাপ ফুটবলেরই একটা অংশ, এর জন্যই আমি এখানে।”
২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের কাঁধে চড়েই ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠে ব্রাজিল। চোটের কারণে সেই ম্যাচে ছিলেন না বার্সা তারকা, দলও জার্মানির কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল ৭-১ গোলে। তবে এই দল যে শুধু তার ওপর নির্ভরশীল এমন ধরনের প্রচারণায় কোন আগ্রহ নেই নেইমারের। তিনি বলেন “আমি কখনোই নিজের সম্পর্কে কথা বলতে পছন্দ করি না, কিন্তু আমি বার্সেলোনার উদাহরণ দেব। আমাদের অসাধারণ অনেক খেলোয়াড় আছে কিন্তু মেসির উপর নির্ভরশীলতার কথা কি আমরা অস্বীকার করব? অবশ্যই আমরা মেসির উপর নির্ভর করি।” ব্রাজিল অধিনায়ক বলেন, “মেসির জন্যই যে আমরা খেলছি বা সে-ই যে দলের প্রধান এই সত্যটা বলতে আমি লজ্জিত নই। মেসিই বিশ্বের সেরা, আমি তার উপর নির্ভর করতে চাই।”
দলো কোচ মিকালেও মনে করেন, নেইমারই ব্রাজিলকে অধরা অলিম্পিক শিরোপা এনে দেবেন। নিজেদের প্রতি বিশ্বাস আছে নেইমারেরও, “অন্যরা তরুণ, কিন্তু অলিম্পিকে দেশের মাটিতে ব্রাজিলের হয়ে খেলার দায়িত্ব কী তা আমরা জানি। আমি এ নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। ভয় জয়ের ইচ্ছাটাকে কেড়ে নেয়। আমি হারতেও ভয় পাই না। আর আমরা যদি হারিও, তবে সেটা হতে হবে লড়াই করে।”
এক সংবাদ সম্মেলনে স্বদেশি তরুণ খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে নিয়েও বলেন ব্রাজিল তারকা। ইতোমধ্যে ইউরোপের অনেক দলই পালমেইরাস ফরোয়ার্ডের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে স্বদেশিকে নিজের ক্লাবে দেখলে খুশি হবেন বলেও জানান নেইমার। তিনি বলেন, “সে অসাধারণ এক খেলোয়াড়। আমরা জানি, অনেক ক্লাব তাকে পেতে চাইছে। তবে (পালমেইরাস) ছাড়ার সঠিক মুহূর্তটা তাকে বুঝতে হবে, আমরা দলে ভালো খেলোয়াড়দের পেতে চাই।” বার্সেলোনায় আসলে জেসুস সুখে থাকবেন বলেও মনে করেন তিনি, “সে বার্সেলোনায় আসলে খুব সুখী হবে। হয়ত আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাব। এখানকার শহর আর প্রতিটা দিন অসাধারণ।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বার্সা আর মেসিই নেইমারের প্রেরণা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ