Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ব্রাজিলে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিশু জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত

প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রাজিলে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ৬৭০ শিশুর মধ্যে জিকার সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত ৪০৪টি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে। জিকা এক ধরনের মশাবাহিত ভাইরাস। এর প্রভাবে বিশ্বের আক্রান্ত অঞ্চলগুলোর হাজার হাজার শিশু অপরিণত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জিকা ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলোতে জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ লাখ হতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থার মহাপরিচালক ড. মার্গারেট চ্যান জানান, জিকা ভাইরাস হুমকি থেকে গুরুতর বিপজ্জনক অবস্থায় চলে গেছে।
এদিকে এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, শুধু মশার কামড়ে নয়, যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস। নতুন এক মার্কিন গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল জানিয়েছে, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে দেখা যায়, কোনো মশার কামড়ে নয়, বরং আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সংসর্গের কারণেই এ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। যদি জিকা ভাইরাস যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়াতে শুরু করে, তাহলে এটি শুধু আক্রান্ত দেশগুলোর জন্যই হুমকি নয়; বরং বিশ্বের সব দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। তবে কর্তৃপক্ষ ও গবেষকরা বলছেন, যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এ ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়াটা বিরল ঘটনা। তবে এটাও ঠিক যে গত বছর এই গবেষকরাই বলেছিলেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও বিরল। এ মুহূর্তে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়ানোর বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। সেসব প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেলে হয়তো সাবধানতা অবলম্বন করতে সুবিধা হবে।
এটি এইচআইভি বা এইডসের মতো ভয়াবহ কি নাÑ সে সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি অতটা ভয়াবহ নয়। মূলত গর্ভবতী নারীদের জন্যই জিকা হুমকিস্বরূপ। অস্ট্রেলিয়ায়ও জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার দুটি খবর পাওয়া গেছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, সিডনির দু’জন নাগরিক ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে অস্ট্রেলিয়া ফেরার পর তাঁদের শরীরে এ ভাইরাসের লক্ষণ ধরা পড়ে। জিকা ভাইরাসের বিস্তার নিয়ে পৃথিবীব্যাপী উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতীয় গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টাটা তাদের নতুন গাড়ির নাম বদলে দিয়েছে। টাটা যে নতুন গাড়ি বাজারে আনতে যাচ্ছিল - তার নাম ছিল জিপ্পি কার - সংক্ষেপে জিকা। জিকার বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি। কিন্তু জিকা যেহেতু এখন একটি ক্ষতিকর ভাইরাসের নাম হিসেবে দুনিয়াজোড়া পরিচিতি পেয়ে গেছে, তাই টাটা এই নাম বদলে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল বুধবার দিল্লিতে এক মোটর শোতে এই নতুন গাড়ি প্রথম জনসমক্ষে প্রদর্শিত হবার কথা ছিল। এর গায়ে অবশ্য জিকা নামটিই থাকবে, কিন্তু আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এর একটি নতুন নাম জানানো হবে বলে জানিয়েছে টাটা। পৃথিবীর ২০টি দেশে এখন মশাবাহিত জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। এই ভাইরাসে কোনো গর্ভবতী মহিলা আক্রান্ত হলে তার সন্তান অস্বাভাবিক ছোট মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাতে পারে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই একে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য হুমকি বলে ঘোষণা করেছে। এর মোকাবিলা করার মতো কোন টিকা বা ওষুধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। টাটা মোটরস তাদের ন্যানো গাড়ির জন্য সুপরিচিত, তবে তারা জাগুয়ার এবং ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ডেরও মালিক। ডেইলি মেইল, এবিসি নিউজ ও বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রাজিলে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিশু জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ