Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রভাবশালীদের কব্জায় ১৩ লাখ একর

সরকারি ভূমি দ্রুত দখলমুক্ত করার দাবি

প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশে প্রায় ১৭ লাখ একর সরকারি ভূমি প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। এরমধ্যে রেলের জমি রয়েছে ৪ হাজার ৩৯১ একর। বাকী ১২ লাখ ৬০ হাজার ২০০ একর খাস জমি। এসব ভূমি উদ্ধারে দীর্ঘদিন ধরে তাগাদা দেয়ার পরও দখলমুক্ত হচ্ছে না।
জাতীয় সংসদ ভবনে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এনিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। কমিটি অতিদ্রæত অবৈধ দখলে ভূমি উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছে।    
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে অবৈধ দখলভুক্ত সরকারি জমি উদ্ধার এবং এবিষয়ে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। তথ্য মতে, বর্তমানে সারাদেশে খাস জমির পরিমাণ ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ৯৫৭ একর। এরমধ্যে ১২ লাখ ৬০ হাজার ২০০ একর সরকারি জমিই অবৈধ দখলে। অপরদিকে সরকারি হিসাবে সারা দেশে প্রায় ১৩ লাখ একর সরকারি জমি অবৈধ দখলে রয়েছে। এর মধ্যে কৃষি-অকৃষি খাস জমির পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ ২৬ হাজার একর, অর্পিত সম্পত্তির পরিমাণ ৩ লাখ ৭৪ হাজার একর। ২ লাখ ৫২ হাজার একর বনভূমি, ২ লাখ ৭ হাজার একর সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি এবং ১ হাজার ২০০ একর পরিত্যক্ত সরকারি জমি।
এদিকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশ রেলওয়ের ৪ হাজার ৩৯১ একর ভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে প্রায় ১ হাজার ৪ দশমিক ১২ একর এবং পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ৩ হাজার ৩৮৭ দশমিক ২৭ একর। এরমধ্যে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অবৈধ দখলভুক্ত রেলভূমির পরিমাণ ৯২২ দশমিক ৩৪ একর। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি দখল করে রেখছেন ৩ হাজার ৩৭৮ দশমিক ২২ একর এবং ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দখলভুক্ত ভূমি রয়েছে ৯০ দশমিক ৮৩ একর। কমিটি এসব ভূমি উদ্ধারে অতিদ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছে।
এদিকে বৈঠকে ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কার্যক্রম চালু আছে এমন জেলা সরেজমিন পরিদর্শন করে ওইসব এলাকার জনগণ এর মাধ্যমে কিভাবে উপকৃত হচ্ছে তা জানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমে স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকার এমপিদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিটি গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেশী সংখ্যক লোক যাতে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের সুবিধা পায় এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার সুপারিশ করে।
কমিটির সভাপতি মো. রেজাউল করিম হীরার সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, মো. একাব্বর হোসেন, মো. মকবুল হোসেন, সামছুল আলম দুদু, এ, কে, এম মাঈদুল ইসলাম, জাহান আরা বেগম সুরমা এবং গাজী ম,ম, আমজাদ হোসেন মিলন অংশ নেন। ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রভাবশালীদের কব্জায় ১৩ লাখ একর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ