নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রোস্তভের ছয় ফুটবলার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জানা গিয়েছিল গত বুধবার। এতে মহাসমস্যায় পড়ে যায় রাশিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দলটি। কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় মূল দলের সব খেলোয়াড়কে। সেটিও রাশিয়ান প্রিমিয়ার লিগ মাঠে ফেরার মাত্র দুই দিন আগে!
সোচির মুখোমুখি হয়ে মৌসুম পুনরায় শুরুর সূচি ছিল রোস্তভের সামনে। কিন্তু ম‚ল দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে স্কোয়াড গড়ার মতো অবস্থায় ছিল না রোস্তভ। কোচিং স্টাফ থেকে মূল দলের সব খেলোয়াড় কোয়ারেন্টিনে চলে যান। একজন পেশাদার খেলোয়াড়ও ছিল না মাঠে নামার মতো। এ অবস্থায় রোস্তভ সাহস দেখিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিণতিতেই হজম করতে হয় ১০ গোল।
কাল রাতে রোস্তভের মুখোমুখি হওয়ার আগে লিগ টেবিলে অবনমন অঞ্চলে ছিল সোচি। ১৬ দলের এই লিগে ১২তম স্থানে ছিল তারা। ২০১৬-১৭ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা রোস্তভকে ১০-১ গোলে হারিয়ে অবনমন অঞ্চল টপকে নয়ে উঠে আসে সোচি। এমন অপ্রত্যাশিত ফলের পেছনে রয়েছে রোস্তভের অসহায়ত্ব। মূল দলের খেলোয়াড় না পাওয়ায় যুবাদের মাঠে নামায় তারা। কিশোর ফুটবলাররা পুরোটা নিংড়ে দিয়ে বড় হার এড়াতে পারেনি।
দলের জন্য সবচেয়ে বেশি খাটুনি গেছে রোস্তভ গোলরক্ষক ডেনিশ পোপভের ওপর দিয়ে। না, বার বার বল জাল থেকে কুড়োনোর জন্য নয়। ১০ গোল হজমের পাশাপাশি আরও ১৫টি গোল (সেভ) বাঁচিয়েছেন ১৭ বছর বয়সী এ গোলরক্ষক। এর মধ্যে একটি পেনাল্টিও ছিল। রোস্তভের গোলপোস্ট তাক করে মোট ৪১টি শট নিয়েছে সোচি। ম্যাচসেরা হতে পোপভের আর কী লাগে! তার হাতেই উঠেছে এ পুরষ্কার।
রোস্তভের কিশোর ফুটবলাররাও পেতে পারত জয়ের পুরষ্কার। কিন্তু বড়দের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেনি। প্রথম মিনিটেই গোল করে রোস্তভকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রোমান রোমানভ। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষে সোচি এগিয়ে ছিল ৪-১ গোলে। অর্থাৎ ম্যাচ গড়ানোর সঙ্গে রোস্তভের কিশোরদের ওপর আরও নির্মম হয়ে উঠেছে সোচি। ওদিকে সোচির গোলপোস্টে মাত্র দুটি শট নিতে পেরেছে রোস্তভ।
সোচির কাছে ম্যাচটা স্থগিত রাখার অনুরোধ করেছিলেন রোস্তভ সভাপতি আরতাশে আরুতাইয়ুনায়ান্তস। কিন্তু সোচি তা প্রত্যাখান করে। রোস্তভ সভাপতি অবশ্য তরুণদের পারফরম্যান্সে খুশি। তার চোখে এই কিশোররা ‘ভবিষ্যত চ্যাম্পিয়ন’। রোস্তভ অন‚র্ধ্ব-২০ দলের জায়ুর তেদেয়েভের ভাষায়, ‘একটাই ইতিবাচক বিষয়, প্রিমিয়ার লিগে ওদের অভিষেক ঘটে গেল। একাডেমির সব খেলোয়াড় মাঠে নামানোর স্বপ্নও পূরণ হলো। দ্বিতীয়ার্ধে ১৮ বছরের বেশি বয়সী ফুটবলার ছিল মাত্র একজন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।