নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বোমাটা আগে ফাটিয়েছিলেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা। শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিন্দানন্দ আলুথগামাগে একই বোমায় আবার সলতে প্রজ্বলন করেছেন। দু’দিন আগে তিনি দাবি করেছেন, ‘ভারতের কাছে ২০১১ বিশ্বকাপ ‘বিক্রি করেছে’ শ্রীলঙ্কা। ফাইনালটি পাতানো ছিল, শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় এতে জড়িত ছিল।’ সে ম্যাচে ধারাভাষ্য দেন রানাতুঙ্গা। ২০১৭ সালে সে ম্যাচের ফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দেশটির এই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
তারপর থেকেই ঘুম হারাম দুই দেশের ক্রিকেট বোদ্ধাদের। যার যার মন্তব্য আর কটুক্তিতে ভরে উঠছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তাতে যুক্ত হচ্ছে দুই দেশের ভক্ত-সমর্থকেরাও। এবার সেই প্লাটফর্মেই এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সাবেক দুই লঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারা। সেই সাথে প্রমাণ না দিতে পারলে শাস্তিও হতে পারে সাবেক এই মন্ত্রীর!
২০১১ সালের ২ এপ্রিল শনিবারে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে প্রথমে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে টানটান উত্তেজনার ম্যাচটিতে ১০ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারত। সঙ্গে ঘরে তোলে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা। শ্রীলঙ্কার হয়ে ওই ফাইনালে সেঞ্চুরি করা জয়াবর্ধনে এক টুইটে অভিযোগের প্রমাণ দিতে বলেছেন আলুথগামাগেকে, ‘নির্বাচন কি খুব কাছে? মনে হচ্ছে সার্কাস শুরু হয়ে গেছে। নাম ও প্রমাণ কই?’ একই সুর সেই ম্যাচে লঙ্কানদের নেতৃত্ব দেওয়া সাঙ্গাকারার কণ্ঠেও। ফেইসবুকে তিনি জানিয়েছেন নিজের অভিমত, ‘সাবেক মন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুথগামাগের নিজের ‘প্রমাণ’ আইসিসি ও দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার, যেন অভিযোগের পূর্ণ তদন্ত হতে পারে। এটা খুবই দুর্বোধ্য যে, এমন মারাত্মক একটি বিষয় সামনে আনার জন্য তিনি এতদিন অপেক্ষা করেছেন! স্মৃতি যদি ঠিক থেকে থাকে আমার মনে হয়, সে সময় তিনিই ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন।’
দুই অধিনায়কের মখের কথা কেড়ে নিয়েই যেন হুমকিটিকে শক্ত এক ভিত দিলেন শ্রীলঙ্কার এক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। প্রমাণ ছাড়া এমন কথা বলার ঝুঁকিও যে কম না, আলথাগমাগেকে সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন নিশান প্রেমাথিরত্নে। গতকাল শ্রীলঙ্কান সংবাদমাধ্যম ‘নিউজওয়্যার’কে এই আইনবিদ বলেন বলেন, ‘আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা এবং শ্রীলঙ্কান আইন অনুযায়ী কোনো “অংশগ্রহণকারী” নির্বাচকও হতে পারেন কিংবা “দলের সঙ্গে সংযুক্ত অন্য কেউ।” আন্তর্জাতিক ম্যাচে দুর্নীতি ও অসদাচরণ নিয়ে কিছু জানলে তা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছে জানাতে বাধ্য।’
২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ক্রীড়ামন্ত্রী পদে ছিলেন আলুথগামাগে। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা এই রাজনৈতিককে তার ঝুঁকির কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রেমাথিরত্নে, ‘ম্যাচ পাতানোর খবর কিংবা কোনো দুর্নীতির কথা তদন্তের সময় গোপন রাখা আইসিসি ও শ্রীলঙ্কার আইনে অপরাধ। এ অবস্থায় সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটে (আকসু) ব্যক্তিগত পর্যায়ে অভিযোগ করা।’
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কমিশনকে সঠিক সময়ে না জানানোয় অপরাধের ভাগীদার যে মন্ত্রী নিজেও, সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন এই আইনজীবী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।