বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
৯ এপ্রিল প্রথম করোনা পজেটিভ শনাক্ত জেলার দুমকি উপজেলার মৃত দুলাল
হাওলদার এর পর থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত দুই মাস ৯ দিনে পটুয়াখালীতে জেলায় ২০৪ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১১ জন।
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ই জুন পর্যন্ত জেলা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৩৩৯টি যার মধ্যে ২০৪ টি পজেটিভ এবং২৫৪৬ টি নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে এসেছে। ৫৯৪ টি নমুনার রিপোর্ট এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এদিকে যতই দিন যাচ্ছে পটুয়াখালীতে করোনা পজেটিভ আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আক্রান্তের দিক দিয়ে পটুয়াখালী পৌর এলাকা শহর সদর উপজেলা এগিয়ে ।শনাক্ত হয়েছেন ১১১ জন এরমধ্যে পটুয়াখালী পৌর এলাকাই ৯৩ জন, সদর উপজেলায় মৃতের সংখ্যা ১জন।
এ যাবৎ প্রাপ্ত রিপোর্টের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে রিপোর্ট আসতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লেগে যাচ্ছে।যার ফলে নমুনা প্রদানকারী ব্যাক্তিরা নমুনা প্রদানের পরে রিপোর্ট আসতে বিলম্ব করায় পরিবার সহ সমাজে বিভিন্ন জায়গায় স্বাভাবিক কাজকর্ম করে যাচ্ছেন । পরবির্ততে যখন ১ সপ্তাহ পরে রিপোর্ট আসে পজেটিভ,তখন তার সংস্পর্শে আসা লোকজন পরে যান আতংকের মধ্যে,তখন বাধ্য হয়ে অনেক ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ করতে হয় ।
বরিশাল বিভাগের ৬ টি জেলার একমাত্র ল্যাব বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ। ল্যাবের সীমাবদ্ধতার কারনে সেখান থেকে অনেক সময় টেস্ট করানো সম্ভব হয়না ,তখন পাঠানো হয় ঢাকায় ,যার ফলে রিপোর্ট আসতে সময় লেগে যাচ্ছে। সম্প্রতি পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আউট ডোরে রুগী দেখেন একজন মহিলা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারের নমুনা প্রদানের এক সপ্তাহ পরে রিপোর্ট আসে পজিটিভ, ওই এক সপ্তাহ তিনি রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত হাসপাতালে ডিউটি করেছেন । পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোঃ কামরুজ্জামান জানান ,যত তাড়াতাড়ি রিপোর্ট পাওয়া যাবে ততোই শনাক্তকরণের মাধ্যমে মহামারী ভাইরাস থেকে সকলে সতর্ক হওয়া সম্ভব।
রিপোর্ট প্রাপ্তির এ বিলম্বতার কারণে জেলায় করোনা পজিটিভ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে অধিকাংশ সচেতন মানুষ মনে করছেন। ১৮লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত পটুয়াখালী জেলার জনমানুষের জীবনকে মহামারীর হাত থেকে রক্ষা করতে পটুয়াখালী জেলায় অবিলম্বে একটি করোনা সনাক্তকরণ ল্যাবের দাবি উঠেছে জোরেশোরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পটুয়াখালীর রাজনৈতিক ,সামাজিক, বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন সহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এ দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করে বিবৃতি সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবির পক্ষে বিভিন্ন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
পটুয়াখালী -১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মো: শাহজাহান মিয়া গত ৭ জুন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব বরাবরে পটুয়াখালীতে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অনুরোধ জানিয়ে ডিও লেটার প্রদান করেছেন। এ ছাড়াও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকও পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সুপারের অনুরোধপত্রের অলোকে সেবা বিভাগের সচিব বরাবরে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবী জানিয়ে গত ৮ জুন অনুরোধ পত্র প্রদান করেছেন। এছাড়াও বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অমিতাভ সরকার পটুয়াখালীতে করোনা সনাক্তকরণ ল্যাব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চিঠি প্রদান করেছেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন ,আমি ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকষর্ণের জন্য কার্যক্রম শুরু করেছি।তিন বলেন অতিদ্রুত পটুয়াখালীতে একটি করোনা সনাক্তকরন ল্যাব চালু করা গেলে জেলাবাসীকে এ দূর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করতে তা বড় ভুমিকা পালন করবে। এছাড়া পৌর এলাকা সহ জেলার চিহ্নিত রেড জোন গুলোতে দ্রুত লকডাউন কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, পটুয়াখালীতে দ্রুত একটি করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিকভাবে তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সুপার ডা: এম এ মতিন বলেন ইতোমধ্যে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে একটি করোনা সনাক্ত করন পিসি আর ল্যাব স্থাপনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসককে চিঠি প্রদান করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।