Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বিনা তিল করোনা প্রতিরোধ করবে

গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০২০, ১২:৪৬ পিএম

বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল তিলের জাত বিনাতিল-২ করোনা প্রতিরোধে মানব দেহে ইমুনিটি তৈরীতে সহায়তা করে। এ জাতের তিলে ভিটামিন এ.ডি.ই.কে রয়েছে। ভিটামিন এ.ডি.ই.কে করোনার বিরুদ্ধে শরীরে ইমুনিটি তৈরী করে। এছাড়া এ তিল ক্যান্সার,হৃদ ও চর্মরোগ প্রতিরোধ করে বলে কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবস থেকে জানানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র কাশিয়ানী উপজেলার জোনাশুর গ্রামে বিনা উপকেন্দ্র সমূহের গবেষণা জোরদার করন কর্মসূচীর আওতায় এ কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবসের আয়োজন করে। কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি ড. অরবিন্দু কুমার রায়।
গোপালগঞ্জ বিনা উপ কেন্দ্রর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও এসএসও জুলকার নাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমবেশে কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজেন্দ্র নাথ রায়, বিনা উপকেন্দ্রের এসও মোঃ রবিউল ইসলাম আকন্দ, মোঃ মোর্শেদুল ইসমলাম, সৈয়দ ইসতিয়াক আকতার, ফার্ম ম্যানেজার মোঃ আলমগীর কবির, কৃষক মোঃ আকতার মৃধা সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এ বছর গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার ৩০ টি প্রদর্শনী প্লটে কৃষক ১৫ একর জমিতে বিনাতিল-২ এর চাষাবাদ করেছেন বলে গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র জানিয়েছে।
জোনাশুর গ্রামের কৃষক মোঃ আকতার মৃধা বলেন, আমি গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র থেকে বীজ, সার ও পরামর্শ পেয়ে ১ একর জমিতে বিনাতিল-২ এর আবাদ করেছি। তিলের ফলন বেশ ভাল হয়েছে। এখান থেকে কমপক্ষে ১৮ মন তিল পাব। এ তিল ৭২ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। খরচ বাদে লাভ হবে ৫০ হাজার টাকা। এখানে পাটের আবাদ করলে খরচ বাদে লাভ হত ২১ হাজার টাকা। এছাড়া তিলের চাষ করায় এ জমিতে আমি ৩ ফসল আবাদ করতে পারছি। আমার জমিতে তিলের বাম্পার ফলন দেখে প্রতিবেশীরা আগামী বছর এ তিল আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
গোপালগঞ্জ বিনা উপ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলকার নাইন বলেন, বিনাতিল-২ এ ভিটামিন এ.ডি.ই.কে রয়েছে। এটি মানবদেহে করোনার বিরুদ্ধে ইমুনিটি তৈরী করে। এছাড়া ক্যান্সার,হৃদ ও চর্মরোগ প্রতিরোধ করে। লাভ জনক এ তিল চাষ করে কৃষক একই জমিতে ৩ টি ফসল উৎপাদন করতে পারেন। এতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। কৃষকের আর্থসামাজিক আবস্থার পরিবর্তন ঘটে।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি ড. অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, বিনার প্রতিটি জাত উচ্চ ফলনশীল। কাশিয়ানীতে করোনা, ক্যান্সার,হৃদ ও চর্মরোগ প্রতিরোধী ঔষধি গুন সম্পন্ন বিনাতিল-২ জাতের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি হেক্টরে এ তিল ১.৮ টন ফলন দেবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এতে কৃষক বেশ লাভবান হয়েছেন। এ তিল চাষ কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ