Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ড্রয়ের বৃত্তে বন্দি প্রিমিয়ার লিগ

প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ঢাকা ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ফেনী সকার ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচটি হয়েছে ১-১ গোলে ড্র। এ পর্যন্ত বিপিএলের পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটিই ড্র হয়েছে। মাত্র একটি ম্যাচে শেখ রাসেলকে হারিয়ে জয় পেয়েছে উত্তর বারিধারা। গতকাল পঞ্চম ম্যাচেও ড্রয়ের কবল থেকে বেরুতে পারেনি বিপিএল। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে এ ম্যাচটিতে দু’টি গোল ছাড়া পুরো ম্যাচের চিত্র ছিল হতশ্রী। উভয় দলের মধ্যমাঠে ছিল না কোনো নিয়ন্ত্রণ। ছিল ভুল পাসের ছড়াছড়ি। যার কারণে আক্রমণগুলো প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে গিয়ে মুখথুবড়ে পড়ে। তাছাড়া ফেনী সকার ক্লাব সুশান্ত ত্রিপুরার দেয়া গোলে এগিয়ে গেলেও সেটিও তারা ধরে রাখতে পারেনি। ব্রাদার্সের বিদেশি মিডফিল্ডার ওয়ালসন সমতাসূচক গোলটি করেন।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড ম্যাচ শুরু হওয়ার ৪ মিনিটের মাথায় আচমকা গোল হজম করে বসে। বামপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে যায় ফেনী সকার ক্লাবের কৌশলী মিডফিল্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা। ডি বক্সের অনেক দূর থেকে ব্রাদার্সের গোল রক্ষক উত্তম বড়–য়াকে গোলবারের একটু সামনে দেখে সুশান্ত গোলে শট মারেন। গোল রক্ষক একটু পেছনে গিয়ে পাঞ্চ করলেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি ১-০। অবশ্য ব্রাদার্স ইউনিয়ন গোল হজম করার ২১ মিনিটের মধ্যেই বিদেশি মিডফিল্ডার ওয়ালসনের দেয়া গোলে ম্যাচে সমতা আনে ১-১। সমতাসূচক গোলটি আসে ব্রাদার্সের পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে। ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে একক প্রচেষ্টায় সকার ক্লাবের পেনাল্টি বক্সের দিয়ে এগিয়ে যান ওয়ালসন। গোলকিপার ওসমান গনি এগিয়ে আসলে তাকে কাটিয়ে গোলমুখে আরো দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ওয়ালসন জোরালো শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন।
ম্যাচের ৮০ মিনিটে লম্বা পাসে ডি-বক্সের সামনে বল পেয়ে সকারের ফয়োয়ার্ড এনটিম ফ্র্যাঙ্ক গোলকিপার উত্তমকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। ৮৭ মিনিটে বামপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে গিয়ে সকারের ডিফেন্ডার ইমরানের মাইনাসে গোলমুখে শট নেন অধিনায়ক ও ফরোয়ার্ড রিদন। অল্পের জন্য তা লক্ষভ্রষ্ট হয়। শেষ বাঁশি বাজার মিনিট খানেক আগে প্রথম গোলের মতোই গোলমুখে কৌশলী শট নিয়েছিলেন সকারের সুশান্ত ত্রিপুরা। ক্রসবারের সামান্য নিচ দিয়ে বল ঢুকে যাচ্ছিল ব্রাদার্সের জালে। এ সময় কোনোরকমে পাঞ্চ করে দলকে পরাজয়ের লজ্জা থেকে রক্ষা করেন ব্রাদার্সের গোলকিপার উত্তম।
কেন জানি বিপিএলে অংশগ্রহণকারী দলগুলো জয়ের দেখা পাচ্ছে না। গতকাল দিনের দ্বিতীয় ম্যাচটিতেও স্বল্পসংখ্যক দর্শক দেখতে পেল আরেকটি ড্র। টিম বিজেএমসি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। এ ম্যাচে লাল কার্ড পেয়েছে টিম বিজেএমসির বিদেশি ডিফেন্ডার বায়েবেক। দু’টি হলুদ কার্ড পাওয়ায় লাল কার্ড দেখতে হয় তাকে। এবারের লীগে এটি তৃতীয় লাল কার্ড।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে পরিকল্পিত আক্রমণে যায় টিম বিজেএমসি। লম্বা পাস থেকে বল পেয়ে বাম প্রান্ত দিয়ে একক প্রচেষ্টায় ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন বিজেএমসির মিডফিল্ডার মুকুল। তাকে অবৈধভাবে বাধা দেন ব্রাদার্সের এক ডিফেন্ডার। রেফারি জসিম উদ্দিন পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন বিজেএমসির বিদেশি মিডফিল্ডার স্যামসন ১-০। তবে গোল হজমের মিনিট খানেক পরই লম্বা পাসে বল পেয়ে মুক্তিযোদ্ধার বিদেশি ফরোয়ার্ড মুসা ডি বক্সে ঢুকেই চমৎকার শটে বিজেএমসির ও অধিনায়ক ও গোলকিপার হিমেলকে পরাস্ত করে ম্যাচে সমতা আনেন ১-১। ৫৩ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার বিদেশি ডিফেন্ডার মুফতা মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে একক প্রচেষ্টায় বিজেএমজির ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। এ সময় দলকে বিপদমুক্ত করতে বিজেএমসির গোলকিপার হিমেল সরাসরি মুফতাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি জসিম। কিন্তু ফরোয়ার্ড মুসার নেয়া পেনাল্টি কিক বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন হিমেল। ৬৬ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের সুবাদে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেএমসির বিদেশি ডিফেন্ডার বায়েবেক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড্রয়ের বৃত্তে বন্দি প্রিমিয়ার লিগ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ