নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিপিএলের খেলা কাভার করতে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আসা সাংবাদিকদের খাওয়ার জন্য আয়োজকদের প্রেরিত নাস্তা নাকি রাস্তা! গতকাল নাস্তার যে প্যাকেট সরবরাহ করা হয় সেটি ছিল খাওয়ার অযোগ্য। নাস্তার প্যাকেটের গায়ে কোনো রেস্টুরেন্ট কিংবা বেকারীর নাম লেখা ছিল না। এই নাস্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা নাস্তা কোথা থেকে সরবরাহ করা হয়েছে তা জানাতে পারেননি। প্রতিটি প্যাকেটে একটি রোল, একটি সমুচা, এক পিস কেক ও একটি লাড্ডু ছিল। এগুলো অস্বাস্থ্যকর কাগজে মোড়ানো ছিল। এর মধ্যে লাড্ডু ছিল দুর্গন্ধযুক্ত। কেক ছিল একেবারেই নিম্নমানের। এমন দুর্গন্ধযুক্ত নাস্তা খাননি সাংবাদিকরা। অনেক সাংবাদিকই পুরো প্যাকেটই ফেলে দিয়েছেন। কেউ কেউ দু’এক কামড় দিয়ে ফেলে দিয়েছেন সব। বাজার দর অনুযায়ী এই নাস্তার দাম কোনো অবস্থাতেই ৫০ টাকার ওপরে হবে না। এসব নাস্তা রাস্তার পাশের দোকানে পাওয়া যায়। এমন নাস্তা সরবরাহ করায় সাংবাদিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
চার কোটি টাকার এই বিপিএলে সাংবাদিকদের জন্য নাস্তার বরাদ্দ কত টাকা রাখা হয়েছে তাও নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নাস্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা বাফুফের বরাদ্দকৃত টাকায় নাস্তা এনেছেন নাকি নাস্তার টাকা বাঁচিয়ে নিজেদের পকেটে পুড়েছেন সেটিও যেন দেখার কেউ নেই। এ কারণেই নাস্তার টাকা হরিলুট হচ্ছে বলে মনে করছেন সাংবাদিকরা। এমন নিম্নমানের নাস্তার কারণে বদনাম যা হওয়ার সেটি আয়োজক বাফুফের কাঁধেই বর্তাচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্ন, বিপিএলের আয়োজন এটিই প্রথম নয়, এর আগে আটবার আয়োজন করা হয়েছে। তাই এই লীগ আয়োজনে বাফুফের কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা অনেক। তারপরও কেন এবারের বিপিএল আয়োজনের শুরু থেকেই এত অব্যবস্থাপনা? উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর মধ্যে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের বসার ব্যবস্থাটিও ঠিকমতো করতে পারেননি আয়োজকরা। অস্থায়ী প্রেসবক্স করা হয়েছে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের প্রেস কনফারেন্স রুমে। এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হলেও এখনও এর কোনো সুরাহা করা হয়নি। এই বিপিএলের ম্যাচ কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের পদে পদে সমস্যার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্টারনেট সুবিধাও ঠিকমতো দেয়া হয়নি। এমনকি এখানে ডিসের লাইনও দেয়া হয়নি। এ কারণে সারা দেশের মানুষ বৈশাখী টিভির কল্যাণে সরাসরি ম্যাচটি টিভিতে উপভোগ করতে পারলেও প্রেসবক্সের সাংবাদিকরা টিভিতে খেলা দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বিপিএল শুরুর দিন থেকে যে নাস্তা সরবরাহ করা হচ্ছে তা নিয়ে সাংবাদিকদের ক্ষোভের শেষ নেই। এর মধ্যে গতকালের দুর্গন্ধযুক্ত নাস্তা সরবরাহ করায় প্রেসবক্সে ছি ছি পড়ে গেছে। আয়োজকদের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।