Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আনোয়ারায় স্বাস্থ্যকর্মী ও কলেজ অধ্যক্ষসহ নতুন করে ১১ জন করোনা পজিটিভ

আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কাফকোতে

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২০, ৬:৪১ পিএম | আপডেট : ৭:০৪ পিএম, ১৬ জুন, ২০২০

চট্টগ্রামের আনোয়ারার শিল্প কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেড (কাফকো)তে মহামারি করোনা ভাইরাসের আবারো নতুন করে আক্রান্ত হলেন ৬ জন।
এর ২ দিনের রিপোর্টে কাফকোতে ১১ জন কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়। আনোয়ারার বাসিন্দা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্যকর্মী ও এক কলেজ অধ্যক্ষসহ নতুন করে আরও ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ জনে।

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ জুন করোনা নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত হাসপাতাল ফৌজদারহাট বিআইটিআইডির ল্যাবে পাঠানো হয়। গত সোমবার রাতে এসব পরীক্ষার ফলাফলে ১১ জনের করোনা সনাক্ত হয়। আক্রান্তরা হলেন আনোয়ারা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রিদওয়ানুল হক (৫০), আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফরিদা ইয়াসমিন (৪৫), কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫৫), মো. মিজানুর রহমান (৫৭), মো. লাতিফুর কবির (৩০), আলী আজগর (৫৩), এস কে নিয়ামুল কবির (৩৮), বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকার বাসিন্দা মো. নোবেলের কন্যা মনি আক্তার (২৪), হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকার ফেরদৌস মিয়া চৌধুরীর স্ত্রী তাসপিয়া তাসমিম (২০), বারখাইন ইউনিয়নের শাহ আলমের কন্যা রিনু আক্তার (২২) ও শোলকাটা এলাকার বাসিন্দা মনোরঞ্চন সিকদারের পুত্র কিরন সিকদার (৪৮)। আক্রান্তদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মী ফরিদা ইয়াসমিন চট্টগ্রাম শহরে সিএমপি চাঁদগাঁও শমশের পাড়া হাসপাতালের আইসোলেশনে ও অধ্যক্ষ রিদওয়ানুল হক শহরের বাসায় রয়েছে। বাকীরা নিজ নিজ বাসা বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।

এদিকে আনোয়ারায় অবস্থিত শিল্প কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো)তে দিনদিন বেড়েই চলছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত সপ্তাহে কাফকো হাউজিং গেইটে কর্মরত আনসার সদস্য আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১৩ জুন ৬ জন ও ১৫ জুন ৫ জনসহ ১১ জন কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়। আক্রান্তদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের ধারনা হাউজিং গেইটে কর্মরত আনসার সদস্য অথবা কারখানায় কাজ করার সময় আক্রান্ত কারো সংস্পর্শের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের তথ্যে আনোয়ারা উপজেলা রেড জোনে পড়লেও লকডাউন করার সরকারি কোন নির্দেশনা আসেনি। তিনি আরো জানান, আনোয়ারায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১ জন চট্টগ্রাম শহরে আইসোলেশনে ও ১ জন বাসার হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। আনোয়ারার বসবাসরতদের শারীরিক অবস্থা ভাল থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে তারা হোম কোয়ারেন্টিনেই রয়েছে। পুলিশ সার্বক্ষণিক তাদের নজর রাখছে।

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, আনোয়ারায় নতুন করে ১১ জনের করোনা সনাক্ত হয়। আক্রান্তদের ১ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মীও রয়েছেন। তিনি শহরের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকীরা সবাই সুস্থ রয়েছেন এবং তারা হোম কোয়ারেন্টিনেই রয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ