বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এ যেনো লাশের মিছিল। কুমিল্লায় করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে । উপসর্গ নিয়ে জেলায় প্রতিদিনই ঘটছে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা। সেই সাথে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৪ উল্লেখ থাকলেও উপসর্গে প্রাণহানির এ তালিকা গিয়ে ঠেকেছে শ’য়ের কোটায়। গতকালও জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা মেডিক্যালেই মারা গেছেন ৭ জন। এ নিয়ে জেলায় গত ৩ দিনে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জন।
এদিকে গতকাল কুমিল্লায় আরো ৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়ালো।
এর মধ্যে গেলো ১ সপ্তাহেই কুমিল্লায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৫ শ’ ব্যক্তি। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৪৬৯ জন।
এদিকে গতকাল কুমিল্লায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, কুমিল্লা অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলকাছুর রহমান এবং বরুড়ার শিলমুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক বিল্লাল হোসেন মজুমদার।
তারা দু’জনই কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার বিকালে বিল্লাল হোসেন এবং সন্ধ্যায় মারা যান আলকাসুর রহমান।
এছাড়াও এদিন করোনার উপসর্গ নিয়ে জেলায় আরো ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন এবং নিজ নিজ বাড়িতে মারা গেছেন ৩ জন।
কুমেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন এবং উপসর্গ নিয়ে আরো ৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. সাজেদা খাতুন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় (রোববার থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত) কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫ জন। এদের ২ জন আইসিইউতে অপর তিনজন আইসোলেশনে মারা যান।
এদিকে সোমবার সকালে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মো. আলম নামে এক পল্লী চিকিৎসক। তার বাড়ি উপজেলার নাগাইশ গ্রামে। একই দিন বিকেলে জেলার বরুড়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান নুরুল ইসলাম তালুকদার নামে এক ব্যক্তি। মারা যাওয়া এ দু’জন গেলো ক’দিন যাবৎ জ্বর-শ্বাস কষ্টে ভোগছিলেন বলে জানা গেছে।
এ নিয়ে গেলো তিনদিনে কুমিল্লায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন ৩৩ জন। এর আগে গত রবিবার ১০ জন এবং শনিবার কুমিল্লায় করোনার ও উসর্গ নিয়ে মারা যান ১৩ জন। অর্থাৎ গেলো দিনে গড়ে প্রতিদিন ১১ জন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে কুমিল্লায়, দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। সেই সাথে জেলাজুড়ে ভয়াবহ হারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার সংক্রমণ।
এদিকে তাৎক্ষণিক আইসিইউ সুবিধা না পাওয়ায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ভবনে স্থাপিত কোভিড-১৯ হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর রোগীর স্বজনেরা হাসপাতালের দরজা-জানালা ভাঙচুর ও অক্সিজেনের লাইন ছিঁড়ে হুলুস্থুল কা- বাঁধায়। পরে হাসপাতালের অন্য রোগীর স্বজনেরা তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করেন। সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো. মুজিবুর রহমান বলেন, মারপিট করা লোকদের বাবা মারা যাওয়ায় মানবিক কারণে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।