Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে লকডাউন হচ্ছে বরিশাল মহানগরী

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২০, ৮:০৯ পিএম

অবশেষে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকা সম্পূর্ন লকডাউন হতে যাচ্ছে। সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বরিশালের সিভিল সার্জনকে অবহিত করে তা ‘দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে’র জন্য বলা হয়েছে। করোনা সংক্রমনের ব্যাপকতার কারনে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকা ইতোমধ্যে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রায় ৫লাখ জন অধ্যুষিত এ নগরীতে প্রায় ৮শ মানুষ করোনা সংক্রমনের শিকার। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫ জনের।
লক ডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আমাকে ফোন করে প্রদত্ত নির্দেশনা দ্রুত সময়ে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন’।
এদিকে এ নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই লকডাউন বাস্তবায়নের সুপারিশ করে বরিশালের সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদের চিঠি প্রদান করেছেন সিভিল সার্জন। বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহবুদ্দিন খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘লক ডাউন বাস্তবায়নে নির্দেশনা কার্যকরের জন্য বেশ কিছু পূর্ব প্রস্তুতি ও বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। তা সম্পন্ন করার পরই লক ডাউন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ছাড়াও বেশ কিছু মহলের সাথে আলোচনার বিষয় রয়েছে’। ‘প্রয়োজনীয় পূর্ব প্রস্তুতি মূলক কাজ শেষ করে লক ডাউন বাস্তবায়ন করতে কিছু সময় লেগে যেতে পারে’ বলেও জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। সিভিল সার্জন জানান, ‘টেলিফোনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক সিটি করপোরেশন এলাকা লকডাউন করার জন্য নির্দেশনা দিয়ে অতি দ্রুত সময়ে তা বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। এছাড়া রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত এলাকা লকডাউন করার ক্ষেত্রে প্রদত্ত সকল শর্ত শতভাগ কার্যকর করার কথাও বলেছেন পরিচালক’। সিভিল সার্জন বলেন ‘এ নির্দেশনার পরপরই বিষয়টি অবহিত করে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশন সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর প্রধানদের লক ডাউন বাস্তবায়নের সুপারিশ করে চিঠি প্রদান করা হয়েছে’। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন কোন দপ্তর একক ভাবে এক লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারে না। তাই জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ সমন্বয় করে লগডাউন বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া যেহেতু লকডাউনের আওতা সিটি করপোরেশন এলাকা তাই এ কাজে তাদেরও সহযোগীতা ও সংযুক্তি থাকবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে প্রদত্ত প্রজ্ঞাপনে ‘যেখানে 'রেড জোন' হবে সেই এলাকাকে ব্লক করা হবে। ওই এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। রেড জোনে লকডাউন বাস্তবায়ন করবে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসন। এছাড়া "রেড জোনে দেয়া লকডাউন ১৪ থেকে ২১ দিনের জন্য প্রযোজ্য হবে। সেখানে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য বুথ বসানো হবে। থাকবে চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স। খাবার, ওষুধ ও বাজারের সব ব্যবস্থা পরিপূর্ণভাবে ভেতরেই করা হবে। সবদিক থেকে ওই এলাকাটিকে ঘিরে দেয়া হবে যাতে মানুষ বাইরে বের হতে না পারে, এবং বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে না পারে’।
উল্লেখ্য যেসব এলাকায় প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৬০ জন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সেসব এলাকাকে 'রেড জোন' হিসেবে ঘোষণা করে লকডাউনের আওতায় আনা হচ্ছে। ১৫ জুনের পর থেকে 'রেড জোন' ঘোষণা করে লকডাউনের কাজ শুরু করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে ওই প্রজ্ঞাপনে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ