মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দাবি করা হয়েছিল, মায়া ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুযায়ী ২০১২ সালে ২১ ডিসেম্বর ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী! এটি নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। একটি নির্দিষ্ট হিসেবের ভিত্তিতে এই ধ্বংসের দিন নির্ধারণ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু পরে দেখা যায়, সেই হিসাবটি ভুল ছিল। আর সেই ভুল সংশোধন করে জানা গেল, চলতি বছরেই পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার কথা, তাও আবার আগামী সপ্তাহে!
তবে ২০১২ সালের অন্তত এক দশক আগে থেকে এটি অত্যন্ত আলোচিত একটি বিষয় ছিল। বলা হয়, মধ্য আমেরিকার প্রাচীন মায়া সভ্যতা যে ক্যালেন্ডারটি ব্যবহার করতো, সেখানে উল্লেখিত ভবিষ্যদ্বাণী নাকি বিশ্বের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাথে মিলে গিয়েছে। তাই সেই বছর নিয়ে সতর্ক ছিলেন প্রায় সবাই। মৃত্যুকে বরণ করে নেওয়ার আগে অনেকেই জীবনের সব স্বাদ পূরণের চেষ্টা করেছিলেন। এর প্রভাবে হলিউডে সিনেমার তৈরি হল যার নামও রাখা হল ‘২০১২’।
ইতিহাসবিদরা বলছেন, এই মায়া ক্যালেন্ডার শুরু হয়েছে আজ থেকে ৫ হাজার ১২৫ বছর আগে। হিসাব দেখাচ্ছিল, এই ক্যালেন্ডার শেষ হচ্ছে ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর। তাই দেখেই ‘কনস্পিরেসি থিয়োরিস্ট’রা বলেছিলেন, সেই দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে। মায়া ক্যালেন্ডার ফুরিয়ে যাওয়া এই ধ্বংসেরই ইঙ্গিতবাহী। কিন্তু সেদিন কিছুই হয়নি। সবাই ভেবেছিল পুরো বিষয়টিই গুজব।
কিন্তু এতদিন পরে, মানে প্রায় ৮ বছর পরে গবেষকরা নিজেদের হিসাবের একটি ভুল খুঁজে বের করেছেন। আর সেই ভুল বলছে, মায়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আমরা এখন যে সালে আছি, সেটাই ২০১২। যেহেতু গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ১১ দিনে মায়া ক্যালেন্ডারের এক দিন করে পরিবর্তন হয় এবং এই ক্যালেন্ডার ১৭৫২ থেকে শুরু, ফলে তার হিসাবটা দাঁড়ায় ২৬৮ বছর পেরিয়েছে, অর্থাৎ, আসলে ২৬৮ কে ১১ দিয়ে গুণ করলে হয় ২৯৪৮ দিন। ২৯৪৮ দিনকে ৩৬৫ দিয়ে ভাগ করলে হয়, ৮ বছর।
মধ্য আমেরিকার মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস এবং এল সালভাদর অঞ্চলগুলো জুড়ে প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন মায়া সভ্যতা ছিল অত্যন্ত উন্নত একটি সভ্যতা, যারা গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, স্থাপত্যবিদ্যা সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের জ্ঞানের স্বাক্ষর রেখে গেছে। তারা অত্যন্ত সুচারুভাবে দিন-তারিখের হিসেব লিপিবদ্ধ করত। তাদের ক্যালেন্ডার ছিল আমাদের বর্তমান ক্যালেন্ডার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। অক্ষর এবং সংখ্যার পরিবর্তে সেখানে ছিল হায়ারোগ্লিফিক চিত্রের সমাহার, যদিও গবেষকগণ সেগুলোর মর্ম উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। ধারণা করা হয়, অন্তত খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী থেকেই মায়ানদের ক্যালেন্ডার প্রচলিত ছিল।
বিজ্ঞানী পাওলো তাগালোগিউনের মতে, হিসাব থেকে বাদ যাওয়া দিনগুলো যোগ করলে মায়া সভ্যতায় নির্ধারিত, পৃথিবীর শেষ দিন হল ২০২০ সালের ২১ জুন। তবে বিশেষজ্ঞদের সাম্প্রতিক হিসেবেও কোনও ভুল আছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। সূত্র: গালফ নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।