বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনায় করোনা শনাক্ত হলেও জ্বর-সর্দি, গলা ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নেই অসংখ্য রোগীর। এ ধরনের রোগীর বাড়িতে বসে চিকিৎসা দেওয়ার কথা থাকলেও অনুরোধ বা চাপের কারণে তাদের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। এতে উপসর্গ থাকা জরুরি রোগীরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
জানা যায়, খুলনা করোনা ডেডিকেটেট হাসপাতালে বর্তমানে রোগী ভর্তি আছে ৫৯ জন। এদের মধ্যে মাত্র ৬ জনকে আইসিইউওতে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। বাকি রোগীর মধ্যে ৫০ জনের শরীরেই কোন ধরনের উপসর্গ নেই।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, যাদের শরীরে কোন উপসর্গ নেই তাদেরকে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দিয়ে রাখা হয়েছে। এদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া যেতো। মূলত: করোনা আক্রান্ত যাদের গলা ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট আছে, তাদেরই হাসপাতালে ভর্তি করার কথা। কিন্তু উপসর্গবিহিন রোগী ভর্তি হওয়ায় হাসপাতালের ধারন ক্ষমতা কমে আসছে।
খুলনা ডেডিকেটেট হাসপাতালের সমন্বয়ক ডা. ফরিদ আহম্মেদ বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি হলে তাদের জন্য বাড়তি জনবলের প্রয়োজন হয়। চিকিৎসক-নার্সদের বাড়তি শ্রম দিতে হয়। কিন্তু ডেডিকেটেট হাসপাতালে এখন যারা ভর্তি আছেন, তাদের অনেকেরই কোন চিকিৎসা লাগছে না। হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর থেকে উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাই বেশি।
জানা যায়, করোনা রোগী বাড়তে থাকায় তাদের চিকিৎসায় খুলনা সদর হাপাতালের চতুর্থ তলায় ৪২টি শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে। রোগীদের কিডনি ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হলে শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পাঁচটি ডায়ালাইসিস শয্যা ব্যবহার করা হবে। খুলনা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।