বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাউজানে করোনা উপসর্গ (জ্বর ও শ্বাসকষ্ট) নিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মোহাম্মদ এরশাদ (২৭)। শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাউজান উপজেলা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ওই যুবক উপজেলার রাউজান সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর এলাকার মজুমদার বাড়ির মো. ইদ্রিসের পুত্র। ওই এলাকার ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ফোরকান এরশাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে শনিবার রাতে এরশাদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। এরশাদ খুবই শান্ত প্রকৃতির ছিল। এরশাদ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সাংসারিক জীবনে তিনি ছয় মাস বয়সী এক কন্যা সন্তানের জনক। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকোর ছায়া নেমে এসেছে।
জানা যায়, শনিবার (১৩ জুন) রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার পর এরশাদকে প্রথমে রাউজান গহিরাস্থ জে.কে মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বজনরা। এ সময় এরশাদের শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে তার করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে এরশাদকে নিয়ে তার স্বজনরা রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেই রাত দেড়টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর টাইমলাইন সূত্রে জানা যায়, এরশাদ গত বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। কিন্তু তিনি অসুস্থতার কথা প্রকাশ করেন নি। গতকাল (১৩ জুন) রাত ১১টার দিকে বেশি অসুস্থতাবোধ করলে তিনি রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। ভর্তি হওয়ার আগ মুহুর্তে হেল্প ডেস্কের নাম্বারে ফোন করে অক্সিজেনের জন্য সহযোগিতা চাইলে হেল্প ডেস্ক টীম অক্সিজেন সংগ্রহের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু ২০ মিনিটের মধ্যে ফোন আসে সেই যুবকটি আর বেঁচে নেই।
এদিকে এরশাদের মৃত্যুর সংবাদ জানতে পেরে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর উদ্যোগে গঠিত বিশেষ স্বেচ্ছাসেবী টীম এরশাদের লাশ দাফন কার্য সম্পাদন করেন। রোববার (১৪ জুন) সকাল পৌনে দশটার দিকে মোহাম্মদপুর গ্রামের প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল আবদুল জলিল শাহ (রহ:) এর মাজার চত্বরে নামাজে জানাযা উপজেলা জামে মসজিদের খতিব মৌলানা এম এ মতিনের ইমামতিতে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে লাশের দাফন কাজ সম্পন্ন করেন স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্যরা। এ সময় বিশেষ স্বেচ্ছাসেবী টিমের প্রধান সমন্বয়ক জমির উদ্দিন পারভেজ, সমন্বয়ক সাইদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ফোরকান, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ছাবের, নাছির উদ্দিন, বখতেয়ার, শফি, সম্রাট ও ইউসুফসহ এরশাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মোহাম্মদপুর গ্রামের মরহুম নাজমুল হুদা চৌধুরী বাড়ীর মোহাম্মদ ইদ্রিচের ৩ সন্তানের মধ্যে এরশাদ ছিল পরিবারের বড় সন্তান। ২০০৭ সালে এসএসসি পাশের পর ইউএসটিসি থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে ব্যাবসায় জড়িয়ে পড়েন এরশাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।