Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমরা আসল পরিস্থিতির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাব

প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাক্ষাৎকারে এরদোগান
ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কে সামরিক বাহিনীর একাংশের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা
ব্যর্থ হবার পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান প্রথম যে সাক্ষাৎকারটি দেন সেটি ধারণ করে আমেরিকান স্যাটেলাইট টেলিভিশন সিএনএন। অভ্যুত্থান চলার সময় কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হয়েছে, অভ্যুত্থানের সাথে জড়িতদের কী ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা করা হতে পারে, গণমাধ্যমের ব্যাপারে
দৃষ্টিভঙ্গি, ব্যর্থ অভ্যুত্থানের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত ফতেহউল্লাহ
গুলেনের প্রত্যর্পণের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলাপ-আলোচনার
অগ্রগতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তিনি খোলামেলা কথা বলেছেন।
সিএনএন ইন্টারন্যাশনাল’স কানেক্ট দি ওয়ার্ল্ড’-এর উপস্থাপক
বেকি অ্যান্ডারসন এই সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন।
(পূর্ব প্রকাশের পর)
বেকি অ্যান্ডারসন : আচ্ছা, অভ্যুত্থান চেষ্টার পর আপনি এটাকে ‘আল্লাহর পক্ষ থেকে নতুন তুরস্কের জন্য উপহার’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। নতুন তুরস্ক কেমন হবে দেখতে? এটা কি আপনি যাদের বিরোধিতা করছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে বিরোধিতা করে আসছেন তাদের সাথে সহাবস্থান হবে?
এরদোগান : প্রথম কথা হলো, আমাদের সন্ত্রাসী গ্রপগুলোর সাথে নতুন করে সম্পর্ক সৃষ্টির ধারণা নেই। তবে যারা কখনোই সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত ছিল না, যারা তাদের দেশকে, পতাকাকে, জাতিকে এবং তুর্কি রাষ্ট্রকে ভালোবাসে আমরা সবসময় ওইসব তুর্কিকে এবং ওইসব লোককে কাছে টেনে নেব।
বেকি অ্যান্ডারসন : এখন প্রশ্নটা হলো সহাবস্থান কিংবা যে দমন অভিযানের কথা বলা হচ্ছে সেটা নিয়ে?
এরদোগান : দেখুন মিস বেকি, আমি আপনার মতো কারো কাছ থেকে এ ধরনের কিছু শুনতে চাই না। কারণ দমন অভিযানের ধরন নিয়ে আমি কিছু জানি না। কোনো ধরনের দমন অভিযান চলছে বলে জানি না। কোনো ধরনের নির্যাতন চলছে বলে জানি না। এটা স্রেফ পরনিন্দা। আমি বোঝাতে চাইছি, দমন নীতির মাধ্যমে তাইয়েপ এরদোগান হওয়া যায় না। কারণ তাইয়েপ এরদোগান দমনপীড়ন চালালে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫২ ভাগ ভোট পেতেন না। হয়তো পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমরা আসল পরিস্থিতির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাব। কারণ জনগণকেই কিছু করতে দেয়া হলো ঠিক কাজ। যদি জনগণ বলে এই লোকটি কিংবা এই ব্যক্তিটি ভালো মানুষ, ভালো কাজ করে, আমি মনে করি তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা উচিত। এর প্রতি আসলে কেউ কর্ণপাত করে না। কারণ তাদের মনোযোগ অন্য স্থানে, অন্য তথ্যের দিকে। অন্য স্থানের লোকজন কিছু মন্তব্য করে এবং আরেক স্থানের লোকজন তা অনুসরণ করে। এটা ¯্রফে অগ্রহণযোগ্য। আর এটা আমাকে গভীরভাবে পীড়া দিয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক মিডিয়ার অনেকে ফতেহউল্লাহ গুলেনের কাছে গিয়ে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এখন আমার প্রশ্ন হলো, টুইন টাওয়ারে হামলার পর বিন লাদেন জীবিত ছিলেন। ওইসব মিডিয়া কি তার কাছে গিয়ে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিল? তখন তারা তার বক্তব্য সম্প্রচার করলে জনগণের প্রতিক্রিয়া কী হতো, তারা কী বলত? এগুলো কি ইতিবাচক হতো? একই বিষয় প্রযোজ্য যারা ফতেহউল্লাহর কাছে গিয়ে তার সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। তারা এই একই কাজ করেছে আগেও। কার সাথে? বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের কিংবা পার্বত্য এলাকার পল্লী অংশে জনগণের প্রতি সন্ত্রাস চালানো সাবেক নেতার সাথে। তারা এসব সাক্ষাৎকার নিয়ে বই প্রকাশ করে বিক্রিও করছে। কোনোভাবেই এসব কাজকে কোনো সাংবাদিক বা কোনো লেখকের পেশাদার কাজ বলে মনে করি না। কারণ কোনো লোক যদি সন্ত্রাসী হয়, তবে আপনি তাদের মর্যাদাবান করতে পারেন না বা তাদের ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না। আপনি সেটা তরুণ প্রজন্মের কাছে করলে তরুণ প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যেতে পারে। (শেষ)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমরা আসল পরিস্থিতির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাব
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ