Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বাজেট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২০, ২:২০ পিএম

জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ হয়েছে, তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। বাজেট পেশের পর থেকে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ। প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই অসন্তুষ্টির কথা জানাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তবে সাধারণ মানুষ বাজেটকে দেখে থাকেন এক ভিন্ন আঙ্গিকে। অর্থাৎ এতে তাদের কতোটা লাভ হবে বা আর্থিক ক্ষতির মুখে তারা কতোটা পড়বেন সেই নিরিখেই।

 

তাই নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যাদির দাম বাড়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন সাধারণ জনগণ। নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের বিভিন্ন মন্তব্যে সে ক্ষোভ উঠে আসছে৷

 

অর্থনৈতিক উত্তরণ এবং ভবিষ্যত পথ পরিক্রমা' শিরোনামে নতুন অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট বৃস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক ও করভার কমানোর পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়াতে ও বিলাস পণ্যে মানুষের ব্যয় নিরুৎসাহিত করতে বেশকিছু পণ্যে শুল্ক ও করভার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে যেসব পণ্যে শুল্ক ও করভার কমানো হয়েছে তার মূল্য কমবে এবং যেসব পণ্যে শুল্ক ও করভার বাড়ানো হয়েছে তার মূল্য বেড়ে যাবে।

 

সেলিম হোসাইন বাজেট প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘‘আমি নিশ্চিত বলতে পারি এ বাজেটের তিন ভাগের এক ভাগও জনগণ পাবে না কারণ করোনার মধ্য চেয়ারম্যান-মেম্বারা দুর্নীতি করেছে সেই অনুমান করলে এ বাজেট কিছুই না। তাই লোকদেখানো বাজেট না করে টাকাগুলো মন্ত্রী মিনিস্টার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের হাতে দিয়ে দিলে তারা উপকৃত হবে। তাদের আর দুর্নীতি করা লাগবে না বাসায় বসে টাকা গুলো পেতো।’’

 

এম মোমেন লিখেছেন, ‘‘এই বাজেট পুরুটাই ফাঁকিবাজির বাজেট। যে সকল জিনিসের দাম সরকারের নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা নেই সে সকল জিনিষের দাম সরকার কমিয়েছে, এ সকল জিনিসের দাম সরকার কমালেও তা বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা এই সরকারের নেই। আবার অন্যদিকে যে সকল সেবা সরকারের নিয়ন্ত্রনে সে সকল সেবার মূল্য সরকার ইচ্ছে মতো বাড়িয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে এই বাজেট... ভন্ড বাজেট।’’

 

সুলতানা নাহিদা মোরতোজা লিখেছেন, ‘‘জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে যতই বাজেট হোক না কেন! এগুলো কোন লাভ হবে না! কারণ ১০০% মধ্যে ৯০% হয় দুর্নীতি! যা আমরা পূর্বেই দেখেছি! পারলে সেনাবাহিনীদেরকে দিয়ে কাজ করান তাহলে সঠিক ভাবে হবে কাজ।’’

 

সালমান আহমাদ লিখেছেন, ‘‘জনগণকে প্রোজা মনে করলে কেবলমাত্র এই ধরনের বাজেট প্রস্তাব করা সম্ভব। মোবাইল ফোনের খরচ বাড়িয়ে সাধারণ জনগণের মাথায় আর কুড়াল মারবেন না। সরকার বাধাহীন দুর্নীতির বোঝা গরীবের উপর চাপিয়ে দিবেন না।’’

 

সুমন মামুন লিখেছেন, ‘‘বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়ানোর কথা বলেছে অলরেডি বেড়ে গেছে, আর যে সকল পণ্যের দাম কমানোর কথা বাজেটে বলা হয়েছে, তাহা কোম্পানিরা আগামী বছর পর্যন্ত কমাবে না। তারা দেখবে পরবর্তী বাজেটে কোন নতুন সিদ্ধান্ত আসে কিনা। এই হচ্ছে বাংলাদেশের চলমান বাজেট।’’

 

জুলফিকার আলী লিখেছেন, ‘‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে এ বাজেটে কৃষক ভাইদের কোন প্রকার অংশ নাই। কৃষিপণ্যের যে দাম.. যেমন ধান ফলাইতে প্রতি মন খরচ হচ্ছে ৭০০টাকা বিক্রি হচ্ছে ৫৫০টাকা মাত্র। আমরা কেমন দেশে বাস করছি যা কৃষকদের প্রতি কোন নজর নাই মন্ত্রীদের।’’

 

জাবাইর আহাম্মাদ লিখেছেন, ‘‘দাম বাড়ার তালিকা দেখে বলতে হয় বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম এক ভয়ঙ্কর বাজেট, সাধারণ মানুষ যারা করোনার কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তাদের বাকিটা কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার বাজেট। প্রত্যেকটি খাবার আইটেমসহ নিত্যব্যবহার্য প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বাড়বে। কেন বেঁচে আছি এখন মনে হয় এটাই সবচেয়ে বড় অভিশাপ। বাংলাদেশের মানুষকে আর কত শোষণ করলে তাদের জঠরজ্বালা দূর হবে সেটাই ভাবছি?’’

 

এটিএম আব্দুর রহিম লিখেছেন, ‘‘দাম বাড়া কয়েকটি বাদ দিলে অনেক সুন্দর বাজেট প্রস্তাব বলতে হবে! তবে বাস্তবায়ন ও বাস্তবায়নের দূর্নীতি কমানোই সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ!’’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজেট

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ