বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বেড়েই চলেছে। এবার হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটতে গিয়ে মারা গেছেন বিএনপির এক নেতা ।
পাঁচ হাসপাতালে ঘুরে অবশেষে ভর্তির সুযোগ পেলেও মিলেনি আইসিইউ সাপোর্ট। অসহায় স্বজনদের সামনে
মারা গেলেন নগর বিএনপির সহ-সভাপতি লায়ন মো. কামাল উদ্দিন।
নগরীর পার্কভিউ, ম্যাক্স, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে করোনা সন্দেহে ভর্তি নেয়নি।
আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি নিলেও অক্সিজেন পাননি তিনি। পরে ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে মারা যান কামাল উদ্দিন। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি সেখানে ইন্তেকাল করেন।
নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, তার করোনার উপসর্গ ছিলো। শ্বাসকষ্টে বেড়ে যাওয়ায় প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মা ও শিশু হাসপাতালে। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা বসেছিলেন তিনি, এরপরও অক্সিজেন মেলেনি। পার্কভিউ, ম্যাক্স ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোথাও করোনা সন্দেহে ভর্তি নেয়নি। ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে যখন আনা হয় তখন তার অক্সিজেন নেমে গিয়েছিলো ৭৮-এ। তখন তার আইসিইউ সাপোর্ট লাগতো। কিন্তু ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে তিনটি আইসিইউ শয্যার মধ্যে তিনটি রোগী ভর্তি ছিলো। সব হাসপাতালে আইসিইউর খোঁজ করা হলেও কোথাও আইসিইউ মেলেনি। মূলত আইসিইউর অভাবে তিনি মারা যান।
চট্টগ্রামে প্রতিদিন এমন অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে শয্যা ও আইসিইউ সঙ্কট। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি নিচ্ছে না করোনা উপসর্গ নিয়ে যাওয়া কোন রোগী।
এদিকে কামাল উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। পৃথক বিবৃতিতে তারা বলেন, বিএনপির দুঃসময়ে কামাল উদ্দিন পাশে ছিলেন। সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে তার অবদান অনেক। তারা তার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিনের মৃত্যুতে নগর বিএনপির নেতারা শোক প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।