Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সব কিছু ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছেন নাসির

প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : এক সময়ে ৭ নম্বরে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ভাবা হতো তাকে। এই পজিশনে ম্যাচ জিতিয়ে ‘দ্য ফিনিশার’ খেতাব পর্যন্ত পেয়েছিলেন নাসির। এখন বাংলাদেশ দলে সেই নাসিরই ব্রাত্য। দলে আছেন আসা যাওয়ার মধ্যে। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে বাদ পড়ে ২০১৫ বিশ্বকাপে পুর্ণজন্ম হওয়ার পর নাসির কেন গেলেন হারিয়ে? এটাই প্রশ্ন। সর্বশেষ টি-২০ বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে থেকে, ঘুরে খেলতে পারেননি সুপার টেন পর্বে একটিও ম্যাচ। ৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১৭টি টেস্টের পাশে ৫২টি ওয়ানডে, ৩১টি টি-২০Ñএই স্পিন অল রাউন্ডারের জন্য খুব বেশি নয়।
যখনই নির্বাচকদের পক্ষ থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে পরীক্ষায়, তখনই সেই পরীক্ষায় হয়েছেন উত্তীর্ণ নাসির। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে আইকন গ্রেড থেকে ‘এ’প্লাস গ্রেডে নাসিরকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে, সেই অপমানবোধ এতোটাই তাতিয়ে দিয়েছে যে, অল রাউন্ড পারফর্ম করে (৫২৮ রান ও ১৪ উইকেট) নির্বাচকদের নজরে এসেছেন নাসির। ২০১৪-১৫ ক্রিকেট মওশুমে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট অল রাউন্ড পারফর্ম করে জায়গা পেয়েছেন ২০১৫ বিশ্বকাপে। ২০১৫-১৬ মওশুমে প্রিমিয়ার ডিভিশনে পারফর্ম করে স্বপ্ন দেখছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে দলে জায়গা পেতেÑ ‘আপনি যেখানেই পারফর্ম করেন, এটা আপনাকে আত্মবিশ্বাস দিবে। প্রিমিয়ার লিগে দুই একটা ম্যাচ ছাড়া অবশিষ্ট ম্যাচগুলো মোটামুটি ভালই খেলেছি। আমি যে জায়গাটায় ব্যাটিং করেছি সেখানে খুব বেশি ওভার থাকে না। কখনো ১৫-২০ কখনোবা বা ২০-২৫ ওভার পেয়েছি। আমি সেখানে সর্বোচ্চ রান করা চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে আমি আমার প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি।’
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ভারত সফরে যে ভেন্যুতে সেঞ্চুরি এবং ৫ উইকেটে সুরেশ রায়না, শেখর ধাওয়ানদের হারিয়েছেন, সেই বেঙ্গালুরুতে টি-২০ বিশ্বকাপে জায়গা হয়নি একাদশে। কষ্টটা বুকে চেপে রেখেছেন নাসির। এখন তার লক্ষ্য একটা, তিন ভার্সনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত থাকাÑ ‘একাদেশে থাকা না থাকার বিষয়টা ম্যানেজমেন্টের। তবে আমার চেষ্টার কমতি নাই। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে ও টেস্টে ধারাবাহিক হওয়া বা ভালো কিছু করেই নিয়মিত হওয়া।’
লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে বাংলাদেশ, টেস্টে ১৪ মাস,ওয়ানডেতে ১১ মাস। সে কারণেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে নিজেদের মধ্যে হলেও বেশ ক’টি ম্যাচ খেলার তাগিদ অনুভব করছেন নাসিরÑ ‘সত্যি বলতে আমি শেষ কবে টেস্ট ক্রিকেট খেলেছি আমার মনে নেই। অবশ্যই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলা কঠিন হবে। আমরা টেস্ট যত বেশি খেলবো ভালো করার সুযোগ ততোই থাকবে। আমার কাছে তাই ম্যাচ খেলাই বড় অনুশীলন। অনেক দিন ধরেই আমরা আন্তর্জতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলছিনা। ইংল্যান্ড আসবে কি আসবে না, এটা আমি জানি না। যতোদূর জানি, সিরিজ শুরুর আগে নিজেদের মধ্যে ৭-৮টি অনুশীলন ম্যাচ খেলতে পারব। টেস্ট খেলা অনেক কঠিন।’ তবে ওয়ানডে নিয়ে ভাবছেন না নাসিরÑ ‘হয়তোবা ১০ মাস ধরে আমরা ওয়ানডে খেলিনা। কিন্তু তারপরও আমার মনে হয় খুব বেশি সমস্য হবেনা। কারণ সিরিজ শুরুর আগে আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবো।’
এক সময়ে যে পজিশনে নাসির ছিলেন অপরিহার্য, এখন সেই স্পিন অল রাউন্ডার কোটায় নাসিরকে লড়তে হবে শুভাগতহোম, মোসাদ্দেক সৈকতের সঙ্গে। এমন প্রতিযোগিতার কথা কখনো ভাবেননি নাসিরÑ ‘ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ার এমনই। আমি নিজেও কখনও চাইনি প্রতিযোগিতা করে এই যায়গাতে খেলি। কখন কাকে কোথায় খেলানো হবে, এটা আসলে ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। চেষ্টা থাকবে আর যেন প্রতিযোগিতায় যেতে না হয়।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সব কিছু ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছেন নাসির
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ