গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এক কিশোরী গৃহকর্মীকে (১৫) জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে গাইবান্ধা সদর থানায় ধর্ষিতা কিশোরীর দাদী বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইউনুস আলী গত আট মাস ধরে শহরের থানা পাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে ওই কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর ঘটনাটি কাউকে না জানাতে ধর্মগ্রন্থ ও তার শরীর স্পর্শ করে শপথ করান সুচতুর ওই শিক্ষক। এরপর থেকে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও ব্লাকমেইল করে কিশোরীকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন লম্পট শিক্ষক ইউনুস।

অভিযুক্ত গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইউনুস আলী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের নওহাটী চাচিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী গৃহকর্মী লম্পট শিক্ষকের আপন চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে। কয়েকদিন আগে ওই কিশোরী নিজ বাড়িতে ফিরে লম্পট শিক্ষক চাচার কুকর্মের ঘটনা ফাঁস করলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসি অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে গাইবান্ধা সদর থানায় ধর্ষিতা কিশোরীর দাদী বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।