Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

এ মহামারির শেষ কোথায়, আমাদের জানা নেই : অ্যান্থনি ফাউচি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২০, ৩:৩৩ পিএম

এ মহামারি করোনাভাইরাস থেকে বিশ্ববাসী কবে মুক্তি পাবেন সেটা নিয়ে চলছে ব্যাপক গবেষণা। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অ্যালার্জি ও সংক্রামক রোগের ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফাউচি সতর্ক করে বলেছেন, বিশ্ব থেকে করোনাভাইরাসের মহামারীর বিদায় নিতে ঢের বাকি। তিনি বলেন, কোথায় এর শেষ হবে? আমাদের জানা নেই। আমরা এখনও এর শুরুতে আছি।

গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুন) বায়োটেকনোলজি ইনোভেশন অর্গানাইজেশনের আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে রেকর্ড করা এক ভিডিও বার্তায় অ্যান্থনি ফাউচি করোনাভাইরাসকে তার জীবনের ‘সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, এখন আমরা এমন কিছু দেখছি যা আমার সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন হয়ে এসেছে। চার মাসের ব্যবধানে এটি বিশ্বকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে।
ইবোলা ভীতিজনক ছিল তবে ইবোলা কখনোই সহজে সংক্রামিত হতে পারে না। ইবোলার প্রাদুর্ভাব সবসময় একেবারেই স্থানীয় হয় বলেও জানান তিনি।
এইচআইভিকে গুরুত্ব দিয়েও ফাউচি জানান, অনেকেই এইডসকে হুমকি মনে করে না, কারণ এটা নির্ভর করে আপনি কে, আপনি কোথায় আছেন এবং আপনি কোথায় থাকেন’ -এ বিষয়গুলোর ওপর।

অতীতে ফাউচিকে তিনি সবচেয়ে ভয় পান এমন একটি সম্ভাব্য রোগ সম্পর্কে বর্ণনা করতে বলা হলে তিনি বলতেন, রোগটি হবে নতুন ধরনের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ যা হয়তো কোনো পশু থেকে মানুষে আসবে এবং যা হবে খুবই উচ্চমাত্রায় ছড়াবে।

এসব বৈশিষ্ট্যের কয়েকটি রোগ আছে, এমন মহামারি বিশ্ব অতীতেও দেখেছে। তবে ফাউচি জানান, কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে সবগুলো বৈশিষ্ট্যই একত্রিত হয়েছে। এটি অপ্রত্যাশিত গতিতে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবং এটি এখনও শেষ হয়নি।

ফাউচি জানান, রোগীদের ওপর কোভিড-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু জানার বাকি। ভাইরাসটি নিয়ে এখনও পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা নেই বলে বিজ্ঞানীরা জানেন না সেরে ওঠা রোগীদের ছয় মাস পর কী হবে। আমরা পুরোপুরি সেরে ওঠা বা আংশিক সেরে ওঠার মাত্রা জানি না, সুতরাং আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।

কোভিড-১৯ নিয়ে গবেষণা চলছে উল্লেখ করে ফাউচি বলেন, যারা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও প্রাণে বেঁচে গেছেন তারা পুরোপুরি সুস্থ হবেন কিনা তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন থেকে গেছে। এ রোগটি মানুষের উপর বিচিত্র প্রভাব ফেলছে। আক্রান্তদের কারও কারও মধ্যে কোনও উপসর্গই নেই, আবার কারও কারও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, স্ট্রোক হচ্ছে, রক্ত জমাট বাঁধাজনিত বৈকল্য দেখা দিচ্ছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লড়াইয়ে টিকার অপেক্ষায় আছেন ফাউচি তিনি বলেন, পুরো বিশ্বের জন্য আমাদের বিলিয়ন-বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত ৭০ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ১৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রাণহানি হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি মানুষের। সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশই কোয়ারেন্টিন বিধি শিথিল করতে শুরু করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২ জুন নাগাদ বিশ্বে কোভিড-১৯ এর ১২৪টিরও সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। ফাউচির আশা, এর মধ্যে একাধিক ভ্যাকসিন সফল হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অ্যান্থনি ফাউচি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ