Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আফগানিস্তানে ছায়া সরকার গঠন করছে তালেবান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২০, ৫:০৮ পিএম

আফগানিস্তানে সাধারণ সরকারী সংস্থার দপ্তর এবং দায়িত্বের প্রতিরূপ একটি ছায়া সরকার গঠন করেছে তালেবান। তালেবান লিডারশিপ কাউন্সিলের নেতৃত্বে এ জন্য অনেকগুলো কমিশন এবং সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল কমিটির কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে তালেবানের গৃহীত ব্যবস্থাকে ছায়া সরকার হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে, এ ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় কাঠামোর পাশাপাশি প্রাদেশিক ও স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থাও রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন-তালেবান চুক্তিতে স্বাক্ষরিত তালেবানের প্রতিশ্রুতি ছিল যে, তারা আল কায়েদার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে না। প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘তালেবানদের সঙ্গে আল কায়েদার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে।’ এবং তালেবানের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি তা (আল কায়েদাকে) উৎখাত করার চেষ্টা করে তবে সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে তারা প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে পারে।

আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশন এবং আফগান সরকারের আন্তঃসম্পর্ককারীদের সহায়তায় এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিবেদন প্রস্তুতকারীদের মনিটরিং টিম উল্লেখ করেছে যে, চুক্তি সম্পাদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সময়ে এই ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়েছে তালেবান নেতারা। তারা জানায়, ‘তালেবান এই প্রক্রিয়ায় তাদের রাজনৈতিক অর্জন বৃদ্ধি করেছে’ এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ‘অভ্যন্তরীণ দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও তালেবানরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পেরেছে’।

মনিটরিং টিম বলেছে যে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী বেশিরভাগ তালেবান তাদের নেতৃবৃন্দের আদেশ বা নির্দেশনা অনুসরণ করবে।’ তারা মনে করেন যে, তালেবান নেতারা সহিংসতার সময় হ্রাসকালে তাদের যোদ্ধাদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তারা রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণের জন্য যুদ্ধ থেকে তাদের যোদ্ধাদের বিরত রাখতে পারবেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবানরা তাদের ছায়া সরকারের কাঠামো পরিবর্তন করেছে। বদখশান, বাগলান, বালখ, বামিয়ান, কাবুল, কাপিসা, কুন্দুজ, সামানগান এবং তাখার প্রদেশে ছায়া প্রশাসন এবং সামরিক কাঠামোর পুনর্গঠনে আলোচনা করতে তালেবান সদস্যরা ফেব্রুয়ারিতে জড়ো হয়েছিলেন। গজনী, ওয়ার্ডা, পাকতিয়া এবং পারওয়ান প্রদেশে তালেবান বাহিনীর জন্য গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক সরবরাহ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন আবদুল আজিজ আব্বাসি। আবদুল আজিজ আব্বাসি হাক্কানি নেটওয়ার্কের একজন সিনিয়র সদস্য। তিনি তালেবান উপ-প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানির ভাই।

জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক এবং তাদের আফগান প্রতিনিধিরা বিশ্বাস করেন যে, তালেবান নেতৃত্ব যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হওয়া চুক্তিটির বিবরণ পুরোপুরি প্রকাশ করেনি। বিশেষত আল-কায়েদা এবং বিদেশী সন্ত্রাসী যোদ্ধাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রতিশ্রুতি তারা সাধারণ সদস্যদের কাছ থেকে গোপন রেখেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে তীব্র অভ্যন্তরীণ বিতর্ক হওয়ায় তারা শৃঙ্খলাভঙ্গের আশঙ্কা করছেন। সূত্র: দ্য ডন।



 

Show all comments
  • elu mia ৫ জুন, ২০২০, ৮:৫৫ পিএম says : 0
    কন তালিবান?জারা আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধ করতাসে তারা জিবনেও সরকারের সঙ্গে হাত মিলাবেনা।তালিবান্দের একটা অংশ বেইমানি করতাসে।
    Total Reply(0) Reply
  • ফিরদাউস ৯ অক্টোবর, ২০২০, ২:১৭ পিএম says : 0
    তালেবান জিন্দাবাদ মোল্লা ওমর জিন্দাবাদ ওসামা বিন লাদেন জিন্দাবাদ শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব জিন্দাবাদ ।
    Total Reply(0) Reply
  • ফিরদাউস ৯ অক্টোবর, ২০২০, ২:১৭ পিএম says : 0
    তালেবান জিন্দাবাদ মোল্লা ওমর জিন্দাবাদ ওসামা বিন লাদেন জিন্দাবাদ শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব জিন্দাবাদ ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ