বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের রেকর্ড অতিক্রম করার পাশাপাশি বরিশাল মহানগরীতে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। বুধবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৬। যা এযাবতকালের সর্বোচ্চ। এরমধ্যে শুধু বরিশাল জেলায়ই আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ জন বলে জানা গেছে। এনিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৭৪৮-এ উন্নীত হল। আর দক্ষিণাঞ্চলের হটস্পট বরিশাল মহানগরীতে এসময় মারা গেছেন ১জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৩০-এর বেশী। মহানগরীর নবগ্রাম রোডের মুসলিম পাড়ায় মোঃ হানিফ নামে একজনের মৃত্যু ঘটেছে। এসময় সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন আরো ১১ জন। এনিয়ে আক্রান্ত ৭৪৮ জনের মধ্যে ১৫৯ জন সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে উঠেছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। তবে এপর্যন্ত সরকারী হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন মাত্র ১৭৬জন।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে পিরোজপুরে ৯, ভোলাতে ৬ এবং ঝালকাঠী ও বরগুনাতে ৪ জন করে, আর পাটুয়াখালীতে আরো ২জন রয়েছে। বরিশাল মহানগরীতে প্রথম মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে কিছুটা শংকা বাড়ছে। নগরীতে নতুনকরে আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশ ও নার্স সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষও রয়েছে। মহানগরীর প্রতিটি এলাকাতেই ইতোমধ্যে করেনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা মহানগরী ইতোমধ্যে করোনার হটস্পটে পরিনত হলেও প্রতিরোধে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন না করলে তা মহামরীর রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগন।
দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলাগুলো লক ডাউনের আওতামূক্ত করে শুধুমাত্র আক্রান্তদের বাড়ি ও সন্নিহিত প্রতিবেশীদের এর আওতায় রাখা হচ্ছে। বরিশাল মহানগরীর দুটি সরকারী হাসপাতালের একাধীক কর্মী পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন। এছাড়া শতাধীক পুলিশকর্মীও ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। যে সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। নগরীর বাইরে বাবুগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার অবস্থাও নাজুক। এছাড়া উজিরপুর, বানরীপাড়া ও মুলাদীতেও একাধীক করোনা সংক্রমিত রোগী সনাক্ত হচ্ছে প্রতিদিন। গৌরনদীতেও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে।
বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালগুলোর আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত ৭০৮ জনের মধ্যে ছাড়পত্র লাভ করেছেন ৩৩৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে ১১ জনকে এবং আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ৮ জনকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। তবে এসময়ে করোনা ওয়ার্ডে নতুন কোন রোগী ভর্তি না হলেও আইসোলেশনে ৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ফলে হাসপাতালটির করেনা ওয়ার্ডে ২৮জন ও আইসোলেশনে ১৫ জন চিকিৎসাধীন ছিল। এ পর্যন্ত হাসপাতালটির করোনা ওয়ার্ডে সংক্রমিত ৬ জন ছাড়াও আইসোলেশন ওয়ার্ডে আরো ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ওয়ার্ডে কোন মৃত্যু ছিলনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।